ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মনিরামপুরে আওয়ামী প্রার্থী ৭, বিএনপির একক

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

মনিরামপুরে আওয়ামী প্রার্থী ৭, বিএনপির একক

সাজেদ রহমান, যশোর অফিস ॥ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যশোরের মনিরামপুরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাত মেয়র প্রার্থীর নাম আলোচনায় থাকলেও মাঠে রয়েছেন বিএনপির একক প্রার্থী। তবে বিএনপিতেও রয়েছে বিরোধ। আর জামায়াতও থাকছে না তাদের সঙ্গে। তাই এ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নানামুখী মেরুকরণের বিষয়টি উল্লেখ করছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। মনিরামপুর পৌর এলাকা ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র পদে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও বর্তমান পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা সহ-সভাপতি বাবুল করিম বাবলু, সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ গাজী, আওয়ামী লীগ নেতা জিএম মজিদ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএম নজরুল ইসলাম ও জেলা বাস্তুহারা লীগ নেতা এসএম লুৎফর রহমান। পৌরবাসীরা জানায়, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্তমান পৌর মেয়র শহীদ ইকবাল হোসেন ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে দায়িত্বশীল অনেকেই তার মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচনী মাঠে বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের অন্তত ৭ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রভাষক ফারুক হোসেন প্রচার শুরু করেছেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা সহ-সভাপতি বাবুল করিম বাবলু, সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ গাজী, আওয়ামী লীগ নেতা জিএম মজিদ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএম নজরুল ইসলাম ও জেলা বাস্তুহারা লীগ নেতা এসএম লুৎফর রহমানের নাম আলোচনায় রয়েছে। এরাও জনসংযোগ শুরু করেছেন। তবে দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করতে হলে নৌকা প্রতীক নিশ্চিত করতে হবে-বুঝতে পেরে প্রার্থীরা গণসংযোগের চেয়ে এখন হাইকমান্ডের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন। উপজেলা-জেলা হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে কিভাবে নৌকা প্রতীক বাগানো যায় সে প্রচেষ্টায় ব্যস্ত সময় কাটছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, দলীয় নেতাকর্মী ও নীতিনির্ধারকরা যদি মনে করেন তিনি প্রার্থী হলে নির্বাচনে জয়ী হবেন, তাহলে তিনি ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবার আওয়ামী লীগ থেকে যেই মনোনয়ন পাবে তার বিজয় নিশ্চিত।
×