ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এমপিরা নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ পাবেন না;###;নির্বাচন পেছানোও হবে না

পৌর নির্বাচন সময়মতো করতে ইসি অনড় ॥ সব দাবি নাকচ

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

পৌর নির্বাচন সময়মতো করতে ইসি অনড় ॥ সব দাবি নাকচ

শাহীন রহমান ॥ পৌরসভা নির্বাচনে সরগরম সারাদেশে। বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে কর্মতৎপরতা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে পৌরসভা নির্বাচন পেছানোর যেমন কোন সুযোগ নেই- তেমনি আচরণবিধি অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্যদেরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে আগামী ৩০ ডিসেম্বরেই রাজনৈতিক দলগুলোর পৌরসভা নির্বাচনে জনমত যাচাইয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে। এদিকে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন পেছানো ও এমপিদের প্রচারের সুযোগ চাওয়ার দাবি নাকচ করে দিলেও থেমে নেই দলগুলো। কমিশনের আচরণবিধি মেনেই তারা পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে চালিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক কর্মকা-। শেষ মুহূর্তে দলগুলোর মধ্যে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। আগামী ৩ ডিসেম্বর দলের প্রত্যয়ন নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। এদিকে দলীয় প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ বেড়েছে সম্ভাব্য প্রার্র্থীদের ভেতরে। তারা তাকিয়ে আছেন দল কাকে এ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়। প্রার্থী প্রত্যয়নের ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে থাকায় দলীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা তাও নিয়ে এক ধরনের প্রস্তুতি প্রার্থীদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঝিমিয়ে থাকা রাজনীতি এখন সরগরম হয়ে পড়েছে। বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা। পার্টির অফিসে কর্মীদের আনাগোনা বাড়ছে। ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে পৌরসভা নির্বাচন। সবার দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ হয়ে পড়ছে পৌরসভার দলীয় প্রার্থীর দিকে। বিশেষ করে কাকে দেয়া হচ্ছে দলীয় মনোনয়ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রার্থী বাছাই নিয়ে চলছে লবিং গ্রুপিং। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ১৬টি রাজনৈতিক দল পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ইসিতে তাদের প্রার্থীর প্রত্যয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম-পদবি জমা দিয়েছে। ইসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত প্রার্থীদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রত্যয়ন নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। দলের চূড়ান্ত প্রার্থীর অনুকূলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় জনগণের কাছে পৌরসভা নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তবে ইসি জানিয়েছে, কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একের অধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হলে সে দলের প্রত্যেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়া হবে। জানা গেছে, ইসির এ বিধানের ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে কাকে মনোনয়ন দিলে দলের পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারতে তা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দলের প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে প্রার্থীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপের কোন সীমা নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও এবার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপিকে কোমর বেঁধে অংশ নেয়ার তোড়জোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে তফসিল ঘোষণার আগ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার এক ধরনের প্রস্তুতি বিএনপির মধ্যে ছিল। তফসিল ঘোষণার পর তাদের এ বিষয়ে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপরই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হলে এসব শর্ত নিয়ে অনড় থাকতে দেখা যায়নি। বরং তারা পুরোদমে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছেন। এ কারণে তারা গত শনিবার ইসির কাছে খালেদা জিয়ার চিঠি নিয়ে দলের প্রার্থীর প্রত্যয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামও দিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন পেছানোসহ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যাতে গ্রেফতার করে হয়রানি করা না হয় এবং নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমপিদের প্রচারের সুযোগ প্রদানের দাবি জানানো হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের এ দাবি আমলে না নেয়ার জন্য ইসির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি নয় জোটের শরিক অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষে নির্বাচনী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আদালতের আদেশে জামায়াতের দলীয়ভাবে নির্বাচনের সুযোগ না থাকলেও ইতোমধ্যে দলটি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন সে দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নির্বাচনের পুনঃতফসিলেরও দাবি জানিয়েছেন দলটি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের সঙ্গে দেখা করে এ সব দাবি জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। বৈঠকে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ রয়েছে। কিন্তু তাদের পদধারী নেতারা পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এটা হতে দেয়া উচিত নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায় অনেক ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে। জামায়াতের কোন নেতা যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে না পারে সে বিষয়টি বিধিতে স্পষ্ট করা উচিত। জামায়াত নেতাদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। আমরা জানতে পেরেছি, জামায়াতের অনেক নেতা পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপির ধানের শীষেও তারা ভোট করতে পারে। তিনি বলেন, কোন কারণে একমাত্র ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বাতিল হলে ওই পৌরসভায় সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থী থাকবে না। এটা একটি বড় শঙ্কা। আমরা চাই সংসদের মতো পৌর নির্বাচনেও প্রত্যাহারের শেষ সময়ে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়নে দলের ক্ষমতা দেয়া উচিত। এদিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন পেছানোসহ এমপিদের প্রচারের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার কমিশনের এক বৈঠক আহ্বান করা হয়। তবে বৈঠক শেষে আইনী বিধানের অজুহাত দেখিয়ে তাদের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইসি। গত রবিবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পৃথক প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করা হয়। এছাড়া বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি করা হয়। আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও নির্বাচনী প্রচারে এমপিদের অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করা হয়। তাদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলা হয়। সোমবার কমিশনারদের বৈঠকে এসব দাবি নিয়ে আলোচনা করা হলে আইনী বাধ্যবাধকতা থাকায় তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে এমপিদের প্রচারে অংশ নেয়ার সুযোগ না রাখা ও নির্বাচন যথাসময়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে অলোচনার জন্য পৃথকভাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পক্ষ হতে প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় তারা পৌরসভা নির্বাচনের তারিখ, আচরণবিধিসহ অন্যান্য কিছু বিষয় সংশোধনের দাবি জানান। তাদের এ দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার কমিশনের এক বৈঠকে তাদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে নির্বাচনী প্রচারে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের বিধান রেখে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫-এ পর্যায়ে পরিবর্তন করা সমীচীন হবে না। এছাড়াও ভোট গ্রহণের দিন অপরিবর্তিত রেখে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা দশ দিন বাড়ানোর বা নির্বাচনের সময়সীমা ১৫ দিন পেছানোর কোন অবকাশ নেই। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী মেয়র পদে রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ বিধি ১২ উপ-বিধি (৪) সংশোধন করে ০১ (এক) জন ভোটারের মেয়র ও কাউন্সিলর উভয় পদে প্রস্তাবক ও সমর্থক হওয়ার সুযোগের বিষয়টি স্পষ্টকরণ করা হয়েছে। কমিশনের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যে সব পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে সব এলাকার নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগটি তদন্ত করে উক্ত কর্মকর্তাকে নির্বাচনী এলাকা হতে প্রত্যাহার করে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা প্রদান করার নির্দেশনা পরিপত্রের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে। পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এ বিধি ২২ এ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমপদধারী ব্যক্তিবর্গ এবং সংসদ সদস্য ও অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পর হতে ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণে বাধানিষেধ আরোপ করে বিধান করা হয়েছে। এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরেই নির্বাচন করার আইনী বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব এজতেমা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। আবার অনেক পৌরসভার মেয়াদ ৯০ দিন পার হয়ে যাবে। এ কারণে আইনের বিধান লঙ্ঘন করতে হবে ইসিকে। আবার নির্বাচন পেছালেও নতুন ভোটার তালিকার ভোটারদের পৌরসভা নির্বাচনের ভোট দেয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসবে। ফলে কমিশনের নতুন করে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তাদের ভোট না দিতে দিলে অনেকেই মামলা করতে পারে। এসব বাড়তি ঝামেলা এড়াতে নির্বাচন না পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে কমিশনের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও জানা গেছে, কমিশন প্রণীত আচরণবিধি নিয়ে প্রথম থেকেই কমিশন নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এখন নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে আচরণবিধি সংশোধন করে এমপিদের সমালোচনার সুযোগ দেয়া হলেও আবারও নতুন করে সমালোচনায় পড়তে হতে পারে। আবার আওয়ামী লীগের দাবি বিবেচনায় নেয়া হলেও বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি মানতে বাধ্যবাধকতা তৈরি হতে পারে। এসব বিবেচনায় নিয়ে এমপিদের প্রচারে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে যে বিধি-নিষেধ রয়েছে তা বহাল রাখা হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এসব দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। গত ২৪ নবেম্বর সারাদেশে ২৩৬টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ধরা হয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথম স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন হওয়ায় প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শেষ মুহূর্তে দলগুলোর মধ্যে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ।
×