ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামীকে ছেড়ে দেবরের কাছে এসে খুন হলেন শাহনাজ

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

স্বামীকে ছেড়ে দেবরের কাছে এসে খুন হলেন শাহনাজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দেবরের বাসায় এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই নিহতের দেবর মিয়ান গা-ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ ২৪ ঘণ্টায়ও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে তোপখানা রোডের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক বোর্ডারের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ওই হোটেল থেকে নিহতের স্ত্রী তাসনোভাকে আটক করেছে। এ ছাড়া পুরনো ঢাকার ওয়ারীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, মিয়ানের বাসা থেকে ভাবি শাহনাজের (২৩) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে উত্তর-পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর ১৩/সি/১নং চারতলা বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ঘটনার পর দেবর নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশের ধারণা শাহনাজকে খুন করে মিয়ান পালিয়ে গেছে। যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ নাসির জানান, নিহত শাহনাজের স্বামী মফিজুর রহমান। তাদের বাড়ি যশোরে। শাহনাজ গ্রাম থেকে কয়েক দিন আগে দেবর মিয়ানের সঙ্গে পালিয়ে ঢাকায় আসেন। মিয়ান শ্রমিকের কাজ করতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে। মিয়ান তার ভাবি শাহনাজকে খুন করে পালাতে পারেন। দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ বাসা থেকে শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে। লাশটি ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। পুলিশ এ হত্যাকা-ের প্রকৃত কারণ এখনও উদঘাটন করতে পারেনি। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী চন্দ্র জনকণ্ঠকে বলেন, নিহতের দেবর মিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা পর্যন্ত হত্যা রহস্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে শাহনাজ স্বামীকে ছেড়ে কেন এ বাসায় দেবরের সঙ্গে থাকতেন সেটাই বড় প্রশ্ন। এখানে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পকর্টা কতটা বৈধ ছিল সেটা জানা গেলে হত্যা রহস্য পরিষ্কার হবে। মিয়ান পলাতক থাকায় তাকেই প্রাথমিকভাবে সন্দেহের শীর্ষে রাখা হয়েছে। তোপখানার হোটেলে লাশ ॥ রাজধানীর তোপখানা রোডের হোটেল রয়্যাল থেকে ওমর হায়দার (৩২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৮টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের বাড়ি চট্টগ্রাম। গত ২৫ নবেম্বর থেকে তিনি এবং তার স্ত্রী ওই হোটেলে ছিল। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকা- তা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। আপাতত স্ত্রী তাসনোভা পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ওমর ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এ জন্য ওমরের পরিবারের সন্দেহ তাকে হত্যা করা হতে পারে। মাদকের সেমিনার ॥ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদর দফতরে সোমবার দুপুরে রাজধানীর ১০টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ ছাত্রের সঙ্গে মাদক কর্তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। একে মাদকের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান। মতবিনিময়কালে তিনি ছাত্র শিক্ষকদের মাদকের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। মাদক থেকে দূূরে থাকারও কৌশল শেখানো হয়। ভবন থেকে পড়ে মৃত্যু ॥ রাজধানীর ওয়ারীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মোঃ নান্টু মিয়া (২৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনের প্রজেক্ট ইনচার্জ জানান, ১০তলা ভবনের ছাদ ঢালাই কাজের প্রস্তুতি চলছিল। হঠাৎ করে কাজের মধ্যে ছাদ থেকে তিনি নিচে পড়ে যান। পরে তাতে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাদক উদ্ধার ॥ এদিকে মাদক পরিদর্শক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর বসুন্ধরায় অভিযান চালিয়ে ৫ শতাধিক ইয়াবাসহ দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তারা হলেন নাছিমা ও মানিক। সোমবার দুপুরে তাদের আটকের পর মাদক বিক্রির ৫০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মাদক বিক্রি করে অসছে বলে জানান তিনি। এছাড়া র‌্যাব-১ খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক বিক্রির লক্ষাধিক টাকা। এএসপি মোঃ মোর্তাহীন বিল্লাহর নেতৃত্বে এ অভিযানে ধরা পড়ে স্বপন নামের এ মাদক ব্যবসায়ী। এ সময় তার কাছ থেকে ৫৭ (সাতান্ন) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির এক লাখ সাতান্ন হাজার একশত বিশ টাকা উদ্ধার করা হয়। আগারগাঁওয়ে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ॥ আগারগাঁওয়ে গণপূর্তের জমিতে অবৈধভাবে স্থাপন করা বেশ কিছু ঘর ও দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। পূর্র্ত বিভাগের পাবলিক ওয়ার্ক ডিভিশন (পিডব্লিউডি) ডিভিশন-৩-এর ৮ নং সাব-ডিভিশনের পরিচালক মীর আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, আগারগাঁওয়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যারা উচ্ছেদের আওতায় আছেন-তাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে দফায়-দফায় তিনবার মালপত্র সরিয়ে নেয়ার নোটিস করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোন প্রস্তুতি নেননি। যে কারণে আজ এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে পিডব্লিউডির কর্মকর্তারা শেরেবাংলা নগর থানার সামনে আগারগাঁও বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা ১টায় চারটি বুলডোজার দিয়ে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছিল।
×