ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আত্মরক্ষায় লিবিয়ার সির্তে ঘাঁটি গেড়েছে আইএস

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

আত্মরক্ষায় লিবিয়ার সির্তে ঘাঁটি গেড়েছে আইএস

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ইরাকী কমান্ডাররা এখন সিরিয়া থেকে এসে পৌঁছতে শুরু করেছেন লিবিয়ার উত্তরাঞ্চলী শহর সির্তে। শুরু হয়ে গেছে প্রকাশ্যে শিরñেদ পর্ব। স্থানীয় রেডিও এখন আর গান বাজনা শোনা যায় না। সে জায়গায় এখন আইএসের স্বঘোষিত খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদির স্তুতি প্রচারিত হচ্ছে। খবর ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউনের। লিবিয়ার উপকূলীয় শহর সির্তে এক বছর আগে আইএস যখন নিজেদের শাখা খুলেছিল স্থানীয় কিছু কিছু মিলিশিয়া তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। এখন শহরটি পুুরোপুরি আইএসের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, আইএস সক্রিয়ভাবে এখানকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতি নগরটির প্রধান কারাগার থেকে স্থানীয় কয়েকজন মিলিশিয়া নেতা এবং কিছু জিম্মিকে ছেড়ে দেয়া হয়ছে। পূর্বাঞ্চলীয় মিসরাতা শহরের একটি পরিবহন কোম্পানির প্রধান নুরি আল মানকুশ বলছেন, ‘এখনকার পুরো আইএস সরকারটি বহিরাগত। তারাই এখানকার দ-মু-ের কর্তা।’ মিসরাতার অবস্থান সির্তে থেকে ৬৫ কিলোমিটার পূর্বে। তবে ওই কোম্পানির অনেক কর্মী সির্তে বাস করেন। এদের মধ্যে পাঁচজনকে সম্প্রতি জেল দেয়া হয়েছে। পশ্চিমা জোটের সামরিক আক্রমণে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস এখন কোণঠাসা। এ কারণে জঙ্গী গ্রুপটি বাইরের বিশ্বে নিজেদের আশ্রয় তৈরি করছে। সম্প্রতি প্যারিসে বন্দুক হামলা ও মিসর থেকে রাশিয়াগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করে আইএস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে দিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খবর দিয়েছে আইএসের মূল নেতৃত্ব এখন লিবিয়ায় ঘাঁটি গেড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। লিবিয়ায় তেল সমৃদ্ধ উপকূলীয় এলাকার দিকে আইএসের নজর বিশেষ করে এ কারণে যে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্যও অর্থ প্রয়োজন। পশ্চিমা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আইএসের অগ্রাভিযান রুখতে লিবিয়ায় তাদের রাশ টেনে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজন। সিরিয়া ও ইরাকে প্রবল অর্থনৈতিক ও সামরিক চাপ আইএসকে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই তাদের পুরোপুরিভাবে নির্মূল করার সময় এখনই। দূরবর্তী টার্গেটে আঘাত হানার ক্ষমতা যে আইএসের এখনও রয়ে গেছে প্যারিস হামলা ও রুশ যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের ঘটনা সেটি দেখিয়ে দিয়েছে। প্যারিসে নিহত হয়েছে ১৩০ জন, আর বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছে ২২৪ জন আরোহী।
×