ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুপার ওভারে ইংল্যান্ড হারালো পাকিস্তানকে

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

  সুপার ওভারে ইংল্যান্ড হারালো পাকিস্তানকে

অনলাইন ডেস্ক॥ সুপার ওভারে জিতে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড। এর আগে ৩-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজও জেতে মর্গ্যানের দল।অবশ্য এর আগে ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে পরাজয় বরণ করে। সোমবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান করে ইংল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড উইলির দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১১ রানের মধ্যে ফিরে যান দলটির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। উইলির বলে বোল্ড হন আহমেদ শেহজাদ, এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন রাফাতুল্লাহ মোহাম্মদ। রান আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ। শোয়েব মালিকের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি সুপার ওভারে গড়ানোর পর জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ক্রিস জর্ডানের করা সুপার ওভারে তিন রানের বেশি করতে পারেননি শহিদ আফ্রিদি-উমর আকমল। আফ্রিদির পাঁচ বলেই ইংল্যান্ডকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ওয়েন মর্গ্যান-জস বাটলার। মোহাম্মদ রিজওয়ানের (২৪) সঙ্গে ৩৯ রানের জুটিতে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন শোয়েব। রিজওয়ানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙেন আদিল রশিদ। আকমলের দ্রুত বিদায় পাকিস্তানকে আবার চাপে ফেলে দেয়। আফ্রিদির সঙ্গে ৬৮ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন শোয়েব। ২০ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৯ রান করা আফ্রিদিকে বোল্ড করে বিপজ্জনক হয়ে উঠা ৬.২ ওভার স্থায়ী এই জুটি ভাঙেন উইলি। ক্রিস ওকসের করা শেষ ওভারে সোহেল তানভিরের ছক্কায় পাকিস্তানের জন্য সমীকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। শোয়েব যখন আবার যখন স্ট্রাইক পান তখন দুই বলে দরকার দুই রান। উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে তিনি স্যাম বিলিংসের হাতে ধরা পড়লে পাকিস্তানের জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়। ৫৪ বলে খেলা শোয়েবের ৭৫ রানের ইনিংসটি ৮টি চার ও দুটি ছক্কা সমৃদ্ধ। ওকসের শেষ বলের বাই রানে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। ইংল্যান্ডের উইলি ৩ উইকেট নেন ৩৬ রানে। এর আগে ম্যাচের প্রথম বলেই জেসন রয়ের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে এর কোনো প্রভাব পড়তে দেননি জো রুট। পাল্টা আক্রমণে ২২ বলে ৩২ রানের ঝড়ো এক ইনিংসে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তিনি। রুটকে বোল্ড করে তার সঙ্গে জেমস ভিন্সের ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন আফ্রিদি। পরের বলেই পাকিস্তানের অধিনায়ক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে শূন্য রানে ফেরান মইন আলিকে। এরপর অধিনায়ক মর্গ্যান (১৫), বাটলার ও বিলিংস দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে ভিন্স-ওকসের দৃঢ়তায়। সপ্তম জুটিতে এই দুই জনে গড়েন ৬০ রানে জুটি। ২৪ বলে তিনটি ছক্কা আর একটি চারের সাহায্যে ৩৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার ওকস। শেষ ওভারে বিদায় নেওয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভিন্স খেলেন ৪৫ বলে ৪৬ রানের এক ইনিংস। পাকিস্তানের আফ্রিদি ও তানভির দুটি করে উইকেট নেন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন শোয়েব মালিক। ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ভিন্স।
×