ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামীকাল চারণকবি বিজয় সরকারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ২১:৪১, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

 আগামীকাল চারণকবি বিজয় সরকারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ আগামীকাল বুধবার অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুরস্রষ্টা চারণকবি বিজয় সরকারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ২ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন বিজয় সরকার। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়। বিজয় সরকার ১৯০৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি (১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৭ ফাল্গুন) নড়াইলের নিভৃতপল্লী ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। এই গুণী মানুষটির জন্মভূমি পড়ে রয়েছে অযতœ ও অবহেলায়। জানা গেছে-২০০৯ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিজয় সরকারের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদিতে ভবন ও বিজয় মঞ্চ নির্মিত হলেও অযতœ-অবহেলায় তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে ময়লা-অবর্জনার স্তূপ জমেছে। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে কবির ব্যবহৃত খাটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংগ্রহশালা নির্মাণের দাবিও রয়ে গেছে উপেক্ষিত। এদিকে, তার বাড়িটি দেখভালোর জন্য নেই কোনো লোকবল। বিজয় সরকারের বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিও সম্পূর্ণ পাঁকা হয়নি। মাত্র দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে দর্শনার্থীরা পড়েন বিপাকে। গ্রাম্য মেঠো পথের মতই রয়ে গেছে রাস্তাটি। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত ও অসাধারণ গায়কী ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। বিজয় সরকার একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। ১৮০০ বেশি গান লিখেছেন এবং সুর ও সঙ্গীত করেছেন। তিনি গানের কথায়, সুরে মাঝে বেঁচে আছেন হাজারো মানুষের হৃদয়ে। দেশের মাটিতে বিজয় সরকারের যেমন কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও। তিনি তার ভক্তদের কাছে ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। শিল্পকলায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন বিজয় সরকার। বিজয় সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, বিজয় সরকারের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী তার জন্মভূমি নড়াইলের ডুমদিতে পালনের জোর দাবি জানিয়েছেন বিজয়ভক্তরা।
×