ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চার মাসে ৯ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

প্রকাশিত: ০১:১১, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

চার মাসে ৯ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সুদের হার কমলেও প্রতিমাসেই বাড়ছে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি। পরিসংখ্যান বলছে, গেল চার মাসে ৯ হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদফতর। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও বেশি বিক্রি হয়েছে সঞ্চয়পত্র। মঙ্গলবার জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের মঙ্গলবার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এ খাতে নীট বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ কোটি টাকা কম। গত অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি আসে ৯ হাজার ৭৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গেল চার মাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১ হাজার ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মূলত এই তিন ধরনের সঞ্চয়পত্রের বিক্রিই বেশি হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, গত জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি আসে ১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা, গত বছরের চেয়ে ১১৮ কোটি টাকা বেশি। আগস্ট মাসে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি আসে ২ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৮০ কোটি টাকা বেশি। একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে বিনিয়োগ আসে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৪২৭ কোটি টাকা কম। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আসে ২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ৩ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৯৬ কোটি টাকা বেশি। জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত চার মাসে মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে ৬ হাজার ২২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বেশি বিক্রি হয়েছে। এই সময়ে ডাকঘরের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ব্যুরোর মাধ্যমে নীট বিনিয়োগ এসেছে ১ হাজার ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
×