ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ম্যাচে সুপার ওভারে জিতল ইংল্যান্ড

টি২০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২ ডিসেম্বর ২০১৫

টি২০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ডের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর তিন ম্যাচের টি২০তেও ‘হোয়াইটওয়াশ’ হল পাকিস্তান। শারজায় শেষ টি২০ ম্যাচ নির্ধারিত ২০ ওভারে ‘টাই’ হয়। এরপর ‘সুপার ওভারে’ সহজ জয় পায় ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। ক্রিস জর্ডানের করা ওভারে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ও ‘হার্ডহিটার’ উমর আকমল! জবাবে ‘সুপার ওভারে’ আফ্রিদির পাঁচ বলেই ইংল্যান্ডকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ইয়ন মরগান ও জস বাটলার জুটি। ‘সুপার ওভারে’ জিতে ৩-০ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। এর আগে ৩-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজও জেতে মরগানের দল। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট হারের বদলাটা ভালই নিল ইংলিশরা। ম্যাচসেরা শোয়েব মালিক ও সিরিজসেরা জেমস ভিঞ্চ। নির্ধারিত সময়ে মালিকের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। সোমবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে থেমে যায় পাকিস্তনের ইনিংস। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড উইলির দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১১ রানের মধ্যে ফিরে যান দলটির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। উইলির বলে বোল্ড হন আহমেদ শেহজাদ, এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তরুণ রাফাতুল্লাহ মোহাম্মদ। রান আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ। মোহাম্মদ রিজওয়ানের (২৪) সঙ্গে ৩৯ রানের জুটিতে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন মালিক। রিজওয়ানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙ্গেন আদিল রশিদ। আকমলের দ্রুত বিদায় পাকিস্তানকে আবার চাপে ফেলে দেয়। তখন আফ্রিদির সঙ্গে ৬৮ রানের জুটিতে দলকে ফের জয়ের পথে নিয়ে আসেন শোয়েব। ২০ বলে ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ রান করা আফ্রিদিকে বোল্ড করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ৬.২ ওভার স্থায়ী এই জুটি ভাঙ্গেন উইলি। ক্রিস ওকসের করা শেষ ওভারে সোহেল তানভিরের ছক্কায় পাকিস্তানের জন্য সমীকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। মালিক যখন আবার স্ট্রাইক পান তখন দুই বলে দরকার দুই রান। উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে তিনি স্যাম বিলিংসের হাতে ধরা পড়লে পাকিস্তানের জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়। ৫৪ বলে খেলা মালিকের ৭৫ রানের ইনিংসটি ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো। ওকসের শেষ বলের বাই রানে খেলা গড়ায় ‘সুপার ওভারে’। ইংল্যান্ডের হয়ে উইলি ৩ উইকেট নেন ৩৬ রানের বিনিময়ে। এর আগে ম্যাচের প্রথম বলেই জেসন রয়ের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে এর কোন প্রভাব পড়তে দেননি জো রুট। পাল্টা আক্রমণে ২২ বলে ৩২ রানের ঝড়ো এক ইনিংসে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তিনি। রুটকে বোল্ড করে তার সঙ্গে জেমস ভিন্সের ৪৮ রানের জুটি ভাঙ্গেন আফ্রিদি। পরের বলেই পাকিস্তান অধিনায়ক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান মঈন আলিকেও। এরপর অধিনায়ক মরগান (১৫), বাটলার ও বিলিংস দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে ভিন্স-ওকসের দৃঢ়তায়। সপ্তম জুটিতে এই দুই জনে গড়েন ৬০ রানে জুটি। ২৪ বলে ৩টি ছক্কা আর একটি চারের সাহায্যে ৩৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার ওকস। শেষ ওভারে বিদায় নেয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভিন্স খেলেন ৪৫ বলে ৪৬ রানের এক ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদি ও তানভির নেন ২টি করে উইকেট।
×