ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে ৫৯ ভাগ কোম্পানির

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৫

দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে ৫৯ ভাগ কোম্পানির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দুই বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। সোমবারের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে সিএসইতে। এদিন ডিএসইতে ৫৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গত কিছুদিন ধরেই পুঁজিবাজারে টানা পতন চলছিল। প্রথমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নিয়ে আতঙ্ক কাজ করায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছিল। এর পরেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, এই সীমা সমন্বয়ের সময় বাড়ানো হবে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়কে ব্রোকারেজ হাউস ও ডিএসই এবং সিএসই বাজারের পতনের জন্য কারণ বলে মনে করেছে, সেগুলো কাঠিয়ে ওঠার প্রস্তাব হিসেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেয় ডিএসই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ সোমবার বৈঠকে মার্জিন রুলসের মার্জিন কলের স্থগিতাদেশ কার্যকরের সময় আরও এক বছর বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ঋণের বিপরীতের ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়ও বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চাপ কমাতে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকদের বোনাস শেয়ার বিক্রিতে অন্তত দুই বছরের জন্য লকইন রাখা হয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ এখন ইচ্ছা করলেই হাতে থাকা বোনাস শেয়ার বিক্রির করে টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। এই তিনটি সিদ্ধান্তই পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। এই সবকিছুরই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি টাকার শেয়ার। যা সোমবারের তুলনায় ২২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৫৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৯টির, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুরু পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহসূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১১৫ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- ইফাদ অটোস, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, বিএসআরএম স্টিলস লিঃ, কেডিএস এ্যাক্সেসরিজ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, সাইফ পাওয়ারটেক, কাশেম ড্রাইসেলস এবং আমান ফিড। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : দেশ গার্মেন্টস, ৭ম আইসিবি, ডেল্টা লাইফ, ৪র্থ আইসিবি, এটলাস বাংলাদেশ, নাভানা সিএনজি, কাশেম ড্রাইসেল, নর্দার্ন জুটস, আইসিবি সোনালী, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জনতা ইন্স্যুরেন্স, আইএসএন, প্রগেসিভ লাইফ, রহিমা ফুড, এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড, সিমটেক্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, মডার্ন ডায়িং, ফুওয়াং সিরামিক এবং ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসই) ২৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১২৫ পয়েন্ট বেড়ে দঁাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৩১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ৬১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেডিএস এক্সেসরিজ, বিএসআএম স্টিল, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা ও সাইফ পাওয়ার।
×