ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পী ঐশিকা নদীর এগিয়ে চলা

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

শিল্পী ঐশিকা নদীর এগিয়ে চলা

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ এ সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল সঙ্গীতশিল্পী ঐশিকা নদী। সাবলীল উপস্থাপনা এবং নিজস্ব গায়কির কারণে শিল্পী হিসেবে ইতোমধ্যে সঙ্গীত অঙ্গনের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিখ্যাত কবিদের লেখা কবিতায় বাবা শাহীন সরদার সুরারোপিত ১১টি গান নিয়ে শিল্পী ঐশিকা নদীর প্রথম অডিও এ্যালবাম ‘কবিতার গান’ প্রকাশিত হয়, যা বাংলাদেশের সঙ্গীত ইতিহাসে কবিতা থেকে গানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ এ্যালবাম। এ এ্যালবামে কবি জীবনানন্দ দাশ, জসীমউদ্দীন, শামসুর রাহমান, মাহবুব উল আলম চৌধুরী, আসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, সমুদ্র গুপ্ত, নাসির আহমেদ, শংকর সাঁওজাল ও সুমন সরদারের কবিতায় সুরারোপ করা হয়েছে। এ্যালবামটি এদেশের সুধীমহলে ও কবিতার বিদগ্ধ শ্রোতাদের কাছে বহুল প্রশংসিত হয়েছে। মূলত সঙ্গীত পরিবারে জন্ম হওয়ায় দু’বছর বয়স থেকেই বাবা-মায়ের কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি ঐশিকা নদীর। বাবা সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শাহীন সরদার ও মা শিল্পী রেবেকা সুলতানা পারভীনের কাছে সঙ্গীত শিক্ষার পাশাপাশি সারগাম ললিতকলা একাডেমির ৮ বছরের সঙ্গীত শিক্ষা প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত করেন ঐশিকা নদী। শুধু তাই নয়, ১৯৯৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২ বছর ১ মাস ২৪ দিন বয়সে ঐশিকা নদী ‘গানে গানে ছড়িয়ে দাও একুশে’র চেতনা’ শীর্ষক সারগাম ললিতকলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৯৯৬ সালে ঐশিকা নদী মাত্র ৪ বছর বয়সে ‘প্রজন্মের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গান’ শীর্ষক অডিও ক্যাসেট এ্যালবামে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ গানটি প্রথম রেকর্ড করেন। ১৯৯৮ সালে ‘ছোটদের গল্পগান’ শীর্ষক অডিও এ্যালবামে ‘এক ছিল টোনা’ ছড়া গানটি তার কণ্ঠে রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে ছোটদের নাচের গান অডিও ক্যাসেটে ‘আজি বা-হা-হাল করিয়া বাজানরে দোতরা’ গানটি রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে ঐশিকা নদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং সারগাম ললিতকলা একাডেমির চিত্রাংকন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কর্মরত।
×