ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্যবিবাহে বাংলাদেশ দ. এশিয়ার শীর্ষে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বাল্যবিবাহে বাংলাদেশ দ. এশিয়ার শীর্ষে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাফল্য দেখানো সত্ত্বেও বাল্যবিবাহে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ দেশের একটি। এখনও মাত্র ১৫ বছর বয়সেই দেশের ২৯ শতাংশ কন্যা শিশুর বিয়ে হয়ে যায়। গ্রাম এলাকায় বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু শহরাঞ্চলে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বাড়ছে; যা উদ্বেগজনক। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্কুলশিক্ষক ও সরকারী কর্মকর্তাদের আরও বেশি আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশে ৭৩ শতাংশ নারী সাইবার সহিংসতার শিকার। তাই বাল্যবিবাহসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতারোধে সাইবার সিকিউরিটিও নিশ্চিত করা জরুরী। বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসব কথা বলেন। ঢাকার কানাডা হাইকমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নিজ নিজ কমিউনিটিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখায় চার বাংলাদেশী সরকারী কর্মকর্তাকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ গউস, খুলনা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল, জামালপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান এবং সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তাদের হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেন। এ সময় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস ও ঢাকার কানাডার হাইকমিশনার বেনুয়া পিয়ের লাঘামে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, কন্যা শিশু ও নারীর অধিকার সুরক্ষায় পর্যাপ্ত আইন রয়েছে। কিন্তু এগুলোর যথার্থ প্রয়োগ সব সময় হয় না। দেখা গেছে, পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব রাখার আশঙ্কা থেকে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে মেয়েরা স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে চায় না। তাদের এ মানসিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার প্রতিটি স্কুলে একজন মনোবিদ বা কাউন্সেলর নিয়োগের চিন্তা-ভাবনা করছে; যারা এসব বিষয়ে মেয়েদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবেন।
×