ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বেতার ভবন কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে ॥ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বেতার ভবন কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে ॥ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) জড়িয়ে বেতার ভবন কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে। বুধবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করেছেন বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যথাযথ নিয়ম মেনেই শাহবাগের বাংলাদেশ বেতারের প্রাচীরে (দেয়ালের বাইরে) সাইনবোর্ড স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর ২ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে এই বিষয়টি জড়িয়ে বাংলাদেশ বেতারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ মিথ্যা বক্তব্য সংবলিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছে। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং প্রকৃত ঘটনা জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করার প্রয়োজন মনে করছে। যথাযথ নিয়ম মেনে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হলেও বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ অমানবিক ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তারা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা বক্তব্য দেন- যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাজধানীর শাহবাগের বাংলাদেশ বেতারের ভূমি (২.৭৬ একর) ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসক কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ তা বুঝিয়ে দেননি। এ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আইয়ুবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বেতার ভবনের প্রাচীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা স্বত্ব হিসেবে ২টি সাইনবোর্ড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ বেতারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে গত ১ ডিসেম্বর ২টি সাইনবোর্ড স্থাপন করতে গেলে বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার পরিবর্তে তাদের কর্মচারীদের দিয়ে বাধা দেন। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে (লোকমান, আবু আহমেদ, সজীব) বেতার ভবনের ভেতরে নিয়ে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করেন। যথযাথ নিয়ম মেনে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হলেও বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ অমানবিক, নিষ্ঠুর, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা বক্তব্য দেন- যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সাইনবোর্ড স্থাপন, আর দখল এক বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বছরের জুন মাসে বেতার ভবনের দখল বুঝে নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে। সে অনুযায়ী সব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেই বেতার ভবনের দখল বুঝে নেয়া হবে। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচিহ্নসহ বেতার ভবনের সঙ্গে জড়িত যাবতীয় ঐতিহাসিক স্মৃতিসমূহ ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সযত্নে সংরক্ষণ করবে যা স্থাপিত ১টি সাইনবোর্ডেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
×