ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সন্তান প্রসব ॥ কমোডে মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সন্তান প্রসব ॥ কমোডে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২ ডিসেম্বর ॥ গাজীপুরে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী বধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে টয়লেটে সন্তান প্রসব করে। এ সময় টয়লেটের কমোডের ভেতরে পড়ে তার নাবজাতক সন্তান মারা গেছে। ওই দুর্ঘটনাটি বুধবার কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের শিংলাব গ্রামে ঘটে। মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মোফাজ্জল হোসেন খান জানান, প্রায় দেড় বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের শিংলাব গ্রামের মোহসিন আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (২৪) তারই চাচা ছানাউল্লার মেয়ে মিতু আক্তারকে (১৫) ভালবেসে বিয়ে করে। কয়েক মাসের মধ্যেই মিতু গর্ভধারণ করেন। বুধবার সকালে হঠাৎ মিতুর প্রসব বেদনা উঠে। অল্প বয়স্ক মিতু বিষয়টি বুঝতে না পেরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটে যান। সেখানেই ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে মিতু। কিন্তু অসতর্কতার কারণে ওই নবজাতকটি টয়লেটের কমোডের ভেতরে পড়ে যায়। এ সময় মিতুর চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর মৃতাবস্থায় নবজাতকটি উদ্ধার করে। লাকসামে ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু ॥ মালিক অবরুদ্ধ সংবাদদাতা, লাকসাম (কুমিল্লাা), ২ ডিসেম্বর ॥ লাকসামে চিকিৎসকের অবহেলায় নাছিমা বেগম (৩২) নামে চার সন্তানের জননী এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ক্লিনিক মালিককে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে লাকসাম পৌর সদরের রংপুর পলি ক্লিনিকে। নবজাতক কন্যাশিশুটি এখনও বেঁচে রয়েছে। প্রসূতির ভাই মোস্তাফিজুর রহমান সুজন ও চাচা আবুল কাশেমের অভিযোগ, উপজেলার চেঙ্গাচাল গ্রামের আরবের রহমানের স্ত্রী নাছিমা বেগমকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর সদরের রংপুর পলি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই ক্লিনিকের মালিক ডাঃ যোগেশ চন্দ্র রায়ের তত্ত্বাধানে নাছিমা বেগমকে ওই দিন গভীর রাতে অপারেশন করা হয়। অপারেশন চলাকালে প্রসূতির মৃত্যু ঘটলে মৃত্যুর সংবাদ আড়াল করতে উন্নত চিকিৎসার অজুহাত দেখিয়ে ওই চিকিৎসক তার ক্লিনিকের এ্যাম্বুলেন্সযোগে কুমিল্লা প্রেরণ করে এবং নবজাতক শিশুটিকে ওই ক্লিনিকে রেখে দেয়। প্রসূতির সঙ্গে থাকা স্বজনরা ক্লিনিক থেকে বের হয়ে কয়েক শ’ গজ এগোলে প্রসূতির মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পুনরায় ওই ক্লিনিকে ফেরত আসে। ওই সময় প্রসূতির স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ক্লিনিক মালিককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
×