অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে ৭৩ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে,বাংলাদেশে যেসব নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের ৭০ শতাংশের বেশি নানাভাবে অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে ফেসবুককে কেন্দ্র করে। বিষয়টি মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠক করবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে এক কোটি সত্তর লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এদের মধ্যে নারী ব্যবহারকারীর সংখ্যা কতো সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। যদিও কয়েকবছর আগে এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাদের মধ্যে ২২ শতাংশ নারী।
সরকারি একটি পরিসংখ্যানের উল্লেখ করে বিবিসি জানায়, ফেসবুকে যেসব নারী হয়রানির শিকার হয় তাদের মধ্যে মাত্র তিনভাগের একভাগ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে চায়। বাকিরা বিষয়টিতে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করতে চায়না।
অনলাইনে যেসব নারী হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের কেউ কেউ অভিযোগ দায়ের করতে আসেন ঢাকার তেজগাঁওতে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারে।
প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলছেন, তিনি প্রতিমাসে গড়ে ১৫টির মতো অভিযোগ পান। অভিযোগ গ্রহণের পর সেগুলো তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নারীদের হয়রানি নিয়ে গবেষণা করেন সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, ফেসবুকে ছবি কিংবা ভিডিওকে কেন্দ্র করেই এ ধরনের হয়রানি বেশি হচ্ছে। অনেক নারী ফেসবুকে ছবি আপলোড করছে। কিন্তু কারও যদি সেই নারী সম্পর্কে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়, তখন তার ছবিটা ফটোশপ করে পর্ণো তৈরি করা হচ্ছে।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: