ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিকল্প প্রার্থী মুক্তার হোসেন

আড়ানীতে মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

আড়ানীতে মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রামেক হাসপাতালের ইনসেনন্টিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বাবুল হোসেন (৪২)। তিনি অতিরিক্ত মদ্যপানের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি মনোনয়নপত্র উত্তোলনের পর দাখিলও করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বাবুল হোসেন। অন্যদের মতো বৃহস্পতিবার শেষ দিন তার নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিলের কথা ছিল। তবে তার আগে রাতে দলীয় মনোনয়নপত্র হাতে পেয়ে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করেন বাবুল। রাতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমান তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডাঃ গোলাম মোস্তফা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ভর্তির পর থেকেই তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে মদ্যপানেই তার মৃত্যু হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। তবে তিনি জানান, যে কোন ধরনের অজ্ঞাত বিষক্রিয়ায় (আননোন পয়জনিং) তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষয়টি টেস্ট (পরীক্ষা) না করে বলা যাবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আড়ানী পৌরসভার কয়েক জন আওয়ামী লীগের নেতা জানান, বাবুল হোসেন নিয়মিত মদ্যপায়ী। সম্প্রতি তিনি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাও নিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে বের হওয়ার পরে তিনি আবার আসক্ত হয়ে পড়েন। সর্বশেষ বুধবার রাতে রাজশাহী থেকে দলীয় মনোনয়ন হাতে পাওয়ার পর রাতে মদ্যপান করেন তিনি। মেয়রপ্রার্থী বাবুলের স্ত্রী দিপালী বেগম বলেন, তার স্বামী মদ্যপান করতেন। তবে রাতে মদ্যপান করেছেন কি না সেটা তিনি জানেন না। বাবুলের পরিবাররের অন্য সদস্যরা জানান, সারারাত খাবার না গ্রহণ করা ও দুশ্চিন্তায় ছিলেন। আড়ানী বাজারে তেলেভাঁজা পরোটা খাওয়ার পরেই বাবুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ মিজানুর রহমান ও বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টিএইচএ ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাবুল মদপান করেছিলো কিনা তা সঠিক বলা যাবে না। তবে তারমধ্যে মানসিক চাপ, উত্তেজনা ও অসংলগ্নতা ছিল। এদিকে দুপুরের পর তার মুত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতারাও হাসাপাতালে ছুটে যান।
×