ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোলবন্যায় সেমিতে লিভারপুল

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

গোলবন্যায় সেমিতে লিভারপুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হাফডজন গোল করে ইংলিশ লীগ কাপ ফুটবলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে দ্য রেডসরা ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে সাউদাম্পটনকে। লিভারপুলের হয়ে দৃষ্টিনন্দন হ্যাটট্রিক করেন ডিভক অরিজি। ইনজুরি থেকে ফিরেই জোড়া গোল করেন ড্যানিয়েল স্টারিজ। এক গোল করেন জর্ডান আইবে। ১৯৯৫ সালের মার্চে এফএ কাপে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ৬-২ গোলে হারের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে ছয় গোল হজম করলো সাউদাম্পটন। এর আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি, এভারটন ও স্টোক সিটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শেষ চারে স্টোক সিটির মুখোমুখি হবে লিভারপুল। অপর সেমিতে এভারটনের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি সেমির প্রথম লেগ ও ২৫ জানুয়ারি ফিরতি পর্বের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আর লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ২৮ ফেব্রুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। চোট কাটিয়ে ফেরার পর এই প্রথম শুরুর একাদশে খেলতে নেমেছিলেন ড্যানিয়েল স্টারিজ। আর ফিরেই করেছেন দুই গোল। অবশ্য ম্যাচের শুরুটা ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল। নিজেদের মাঠে কিকঅফের পরপরই গোল করে এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। সাডিও মান মাত্র ৩৯ সেকেন্ডে গোল করে বসেন। চলতি মৌসুমে লীগ কাপের দ্রুততম গোল এটা। কিন্তু শুরুর এই চমক আর ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে স্টারিজের দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জার্গেন ক্লপের দল। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট মাঠের পারফর্মেন্সে সাউদাম্পটনের চেয়ে পিছিয়েই ছিল লিভারপুল। তবে শেষ পর্যন্ত স্টারিজ-অরিজি-আইবেদের নৈপুণ্যে অতিথিরা জয় পেয়েছে বিশাল ব্যবধানে। লিভারপুলের হয়ে গোলের খাতা খোলাটা হ্যাটট্রিক দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন বেলজিয়ামের ডিভক অরিজি। দ্য রেডসদের জন্য বড় স্বস্তি হয়ে এসেছে ড্যানিয়েল স্টারিজের গোল দু’টি। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই এই ইংলিশ স্ট্রাইকারকে চোটে আক্রান্ত দেখেছেন কোচ ক্লপ। লীগে সর্বশেষ ম্যাচে শেষদিকে কিছুক্ষণ খেলেছিলেন। পরশুই প্রথম শুরুর একাদশে সুযোগ পান স্টারিজ। সুযোগ পেয়েই তিনি প্রমাণ করেছেন নিজেকে। এ কারণে প্রশংসায়ও ভাসছেন স্টারিজ। ম্যাচ শেষে ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকারকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের সুরে ক্লপ বলেন, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমি ওকে (স্টারিজ) বলছিলাম, এখন বুঝতে পারছি সবাই কি নিয়ে কথা বলছিল। অবশ্যই ওর মান সম্পর্কে ধারণা আছে আমার। এমন স্ট্রাইকারদের দলে পাওয়াটা বেশ স্বস্তির। স্টারিজকে শুরু থেকেই খেলানোর সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল তাতে নিজেই যেন নিজের পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন ক্লপ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড্যানিয়েলের ব্যাপারে যে সমস্যাটা ছিল তা হচ্ছে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে ও কতক্ষণ খেলতে পারবে। প্রাক-মৌসুমটা খুব একটা ভাল কাটেনি ওর। তবে ওকে শুরু থেকেই দলে রাখাটা বেশ ভাল সিদ্ধান্ত ছিল। অন্যদিকে সাউদাম্পটন কোচ তো রীতিমতো হতাশ। প্রথম মিনিটে গোল করার পর তার দল যে এভাবে আত্মসমর্পণ করবে তা ভাবতে পারেননি রোনাল্ড কোম্যান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, এই ফলাফল মোটেও কাম্য নয়। আমরা শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলাম। কিন্তু রক্ষণভাগের ভুলের কারণে আমাদের খেসারত দিতে হয়েছে। প্রথমার্ধে দল ভালই খেলেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন ভুলের পসরা সাজিয়েছিল খেলোয়াড়রা। প্রতিপক্ষের প্রশংসা করে কোম্যান বলেন, লিভারপুল ভাল খেলেছে। পিছিয়ে পড়ার পর তারা যেভাবে ম্যাচে ফিরেছে তা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে অরিজি অপ্রতিরোধ্য ছিল। তবে স্টারিজের গোলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
×