ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কন-এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৌফিক ইলাহী

সরকারের চলতি মেয়াদে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

সরকারের চলতি মেয়াদে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের চলতি মেয়াদের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বিদ্যুত বিভাগ। আগে সরকারের পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এখন তা আরও দুই বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিশাল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ‘১৫তম পাওয়ার বাংলাদেশ এবং ১৬তম রিয়েল স্টেট বাংলাদেশ’ কন-এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী নতুন এ লক্ষ্য নির্ধারণের কথা জানান। একই অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইমারত নির্মাণ উপকরণের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা সেমস গ্লোবাল বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পাশাপাশি দুটি এক্সপোর আয়োজন করেছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে এলে দেশের ইমারত নির্মাণ সামগ্রী থেকে শুরু করে সৌরবিদ্যুতের বিভিন্ন উপকরণ সম্পর্কে ধারণা মিলবে। একই সঙ্গে প্লট এবং ফ্ল্যাটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তবে প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। অনেকটা দর্শনার্থী শূন্যই কেটেছে প্রথম প্রহর। যদিও আয়োজকরা বলছেন দূরত্ব যাই হোক না কেন নিশ্চয়ই দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে এ প্রদর্শনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মানববর্জ্য পরিশোধনের জন্য পাগলা এবং দাসেরকান্দায় দুটি পরিশোধনাগার নির্মাণ করছে। কিন্তু পাগলাতে এর আগেও পরিশোধনাগার থাকলেও ওয়াসা কতটা বর্জ্য নিয়ে যেতে পারছে সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সকল মানববর্জ্য নদী দূষণ করছে। আমাদের বালু, তুরাগ এবং বুড়িগঙ্গা এখন আর নদী নেই। কিন্তু আমাদের নদীগুলো বাঁচাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ইমারত নির্মাণ উপকরণমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হলে ফ্ল্যাট নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনা যাবে এবং জনগণের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ভবন নির্মাণে আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে। জনগণের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রির কিস্তি গ্রহণ প্রক্রিয়াও সহজ করতে হবে। গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ কম। তাই পরিকল্পিত উপায়ে ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও অধুনাপ্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকার পরিকল্পিত ভূমিব্যবহার নিশ্চিত করছে। দেশের জনসংখ্যা ও ভূমির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে প্লট প্রকল্পের পরিবর্তে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণ উপকরণ ও পদ্ধতির ক্ষেত্রে গুণগত মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা এবং ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে জনপ্রিয় করতে হবে। অন্যথায় শহরে মানুষের বসবাস করা সম্ভব হবে না। সরকার মিরপুর এলাকায় ১৯০ একর জমির ওপর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি গ্রিন সিটি গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমরা জ্বালানিখাতের উন্নয়নে এনার্জি রিসার্স কাউন্সিল করেছি। এখানে নবীন প্রবীণের সংমিশ্রণে জ্বালানিখাতের উদ্ভাবনীমূলক গবেষণা নতুনমাত্রা যোগ করবে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই যা পৃথিবীর সকলের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।
×