ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত, কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজধানীতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত, কিশোরীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। নগরীর পৃথক স্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছেন তিনজন। এছাড়া অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অডিটরসহ আরও তিনজন সর্বস্ব খুইয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহজাহানপুর এলাকার ৬৮/৩ নম্বর বাসায় বিদ্যুতস্পষ্ট হয়ে জনি (২৪) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম। নিহতের বাড়িওয়ালী সাথী জানান, জনি শাহজাহানপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং তার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে গোসলের পর ভেজা কাপড় তারে নাড়তে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ভাড়াটিয়া জনি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আনেন তিনি। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই দিন সকালে ভাটারা থানাধীন নতুনবাজার জেড ব্লক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ কাজের সময় তিন শ্রমিক বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শ্রমিকরা হচ্ছেনÑ রাকিব (১৮), বাদশা (১৯) ও আরজু মিয়া (৩০)। তাদের সহকর্মী আফজাল হোসেন জানান, সকাল ১০টায় নির্মাণ কাজের সময় হাতে থাকা রডের সঙ্গে বিদ্যুতের তারের সংযোগ হলে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর আত্মহত্যা ॥ রাজধানীর পল্লবীতে কমলা (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ বেলাল জানান, বুধবার গভীর রাতে পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের ‘ই’ ব্লকের ৬ নম্বর রোডের বাউনিয়া বাঁধ এলাকার বাড়িতে কমলা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় তার বাবা আবুল কালাম বাসায় ছিলেন না। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সকালে মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে তিনজন ॥ রাজধানীতে প্রতিদিনই কেউ না কেউ অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অডিটর ইউনুস হোসেন (৫৫), আজিজুর রহমান (৪০) ও সামু আক্তার (২০)। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মালিবাগ মোড় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অডিটর ইউনুস হোসেনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ছেলে। একই সময়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকা থেকে আজিজুর রহমানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বোন জান্নাতুল। ওই সময় সামু আক্তারকে অচেতন অবস্থায় একই হাসপাতালে ভর্তি করেন এক পথচারী। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সেন্টু চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাদের স্টমাক ওয়াশ করে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। জ্ঞান ফিরে এলে ঘটনা জানা যাবে। উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর পৃথক স্থান থেকে মা-মেয়েসহ ১২ জন অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নগদ টাকা ও মোবাইল খুইয়েছেন। তাদেরও ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×