ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে সেই লাশের কুয়া বেদখল

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫

ময়মনসিংহে সেই লাশের কুয়া বেদখল

একাত্তরে ময়মনসিংহের ছোট বাজার কুয়ার বধ্যভূমিটি স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছরেও চিহ্নিত করা হয়নি। উদ্যোগ নেয়া হয়নি সংরক্ষণের। ফলে বিনা বাধায় আলোচিত এই বধ্যভূমি মুছে ফেলে তার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক ভবন! এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, বধ্যভূমিটি চিহ্নিত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে শহরের ডাকবাংলোর পেছনে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্ট হাউসের পেছনে, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্কের বধ্যভূমিসহ জেলার মুক্তাগাছার মানকোন বিনোদবাড়ি, গফরগাঁওয়ের চরআলগী, ফুলপুরের সরচাপুর বধ্যভূমি চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। একাত্তরে ময়মনসিংহ শহরের ছোট বাজার কুয়ার ভেতরে পড়েছিল অসংখ্য নারী পুরুষ আর শিশুর পচা অর্ধগলিত লাশ। রাজাকার আলবদর ও অবাঙালী হত্যাকারীরা মুক্তিকামী বাঙালীদের ধরে এনে হত্যার পর লাশ ফেলে দিত ছোট বাজারের এই কুয়ার ভেতরে। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধা জনতা যখন শহরজুড়ে হারানো স্বজনদের খুঁজতে বের হয় তখনই সন্ধান মেলে কুয়ার ভেতরে অসংখ্য লাশ স্তূপাকারে পড়ে আছে। অথচ সংরক্ষণ না করে ভয়াল স্মৃতির সেই কুয়ার চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাকের দাবি, বধ্যভূমির সেই কুয়ার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক ভবন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের আওয়ামী লীগ আমলে এই বধ্যভূমির ওপর সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড-ময়মনসিংহ থেকে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে আবেদন জানান হয়েছিল। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জায়গাটি উদ্ধারের দাবিতে শহরে মানববন্ধনও করেছে। কিন্তু তারপরও এ নিয়ে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত ওয়ান ইলেভেনের সময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছিল। Ñবাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে
×