ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কমলাপুরের টার্ফ প্রস্তুত, তবে...

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫

কমলাপুরের টার্ফ প্রস্তুত, তবে...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে অনেক বিলম্বে হলেও কমলাপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের মাঠে টার্ফ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যেই মাঠ ব্যবহারের জন্য ফিফার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে টার্ফ স্থাপন শেষ হলেও এখানেই শেষ নয় সবকিছু। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে হলে চাই স্টেডিয়ামটির কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এখন সেগুলো সম্পন্ন করার কথাই ভাবছে বাফুফে। ২০১৪ সালের নবেম্বরে ফিফা গোল প্রজেক্ট আওতায় কমলাপুরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল টার্ফ স্থাপনের কাজ। মাঠের পুরো অংশে টার্ফ বসাতে ব্যয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই টার্ফ স্থাপনের দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় কোম্পানি গ্রেট স্পোর্টস ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড। গোল প্রজেক্টের আওতায় কমলাপুর ফুটবল স্টেডিয়ামের জন্য দুই বছর আগেই টার্ফ অনুদান হিসেবে দিয়েছিল ফিফা। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) খামখেয়ালিপনা, অসহযোগিতা আর গোয়াতুর্মিতে কমলাপুরের স্টেডিয়ামটি পাচ্ছিলই না বাফুফে! সেই সঙ্গে ফিফার টার্ফ স্থাপনও পড়ে অনিশ্চয়তার মুখে। টার্ফ বসাতে ফিফার দেয়া শর্তের অন্যতম ২০ বছরের জন্য স্টেডিয়ামের মালিকানা থাকতে হবে। অনেক ঝামেলার পর শেষ পর্যন্ত কমলাপুর মাঠের মালিকানা পায় বাফুফে। তবে সেটা ১০ বছরের জন্য। এরপর গত বছরের নবেম্বরে শুরু হয় এস্ট্রো টার্ফ বসানোর কাজ। কথা ছিল চলতি বছর জুন-জুলাইয়ের দিকে শেষ হবে কাজ। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় টার্ফের মালামাল বুঝে পেতে সময় লেগে যায় বাফুফের। চট্টগ্রাম বন্দরে টার্ফ আটকে থাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানাও গুনতে হয় বাফুফেকে। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবাদ পেয়ে নবেম্বরের শেষদিকে স্টেডিয়ামটি পরিদর্শনে আসে ফিফা প্রতিনিধি দল। পর্যবেক্ষণ শেষে মাঠ ব্যবহার করতে বাফুফেকে ছাড়পত্র দেয় ফিফা। তাই কমলাপুর স্টেডিয়ামের মাঠ ব্যবহারে আর কোন বাধা বা সমস্যা নেই বাফুফের। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘ফিফা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে কমলাপুরের স্টেডিয়ামের মাঠটি আমরা ব্যবহার করতে পারব। এই মাঠটি অফিসিয়ালি বুঝে পাচ্ছি এই মর্মে আমরা সব কাগজপত্র সই করেছি। সেগুলো খুব শীঘ্রই ফিফার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’ তবে মাঠ বুঝে পেলেও আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ আয়োজন করতে হলে এখনও কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন এই স্টেডিয়ামের। এ প্রসঙ্গে সোহাগ বলেন, ‘ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের জন্য ন্যূনতম যে পরিমাণ ফ্লাডলাইট প্রয়োজন, সেখানে সে পরিমাণ ক্যাপাসিটি নেই। এখানকার হসপিটালিটি বক্স, মিডিয়া ফ্যাসালিটিজগুলো উন্নত করা প্রয়োজন। এছাড়া আসনসংখ্যাও কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা সম্প্রতি ক্রীড়া এবং ক্রীড়া উপমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’ বয়সভিত্তিক পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ম্যাচ, মহিলা ফুটবল, ঘরোয়া লীগ আয়োজন করা হবে কমলাপুর টার্ফে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফে উভয়ের সমন্বয়ে টার্ফ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে। কমলাপুরের টার্ফ বুঝে পাওয়ার পর এবার বাফুফের ভাবনায় সিলেট একাডেমি মাঠ।
×