ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪.২০ শতাংশ

প্রকাশিত: ০০:০০, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫

ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪.২০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৩ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭ দশমিক ০১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৭৪ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকের করপোরেট আয়চিত্র পর্যবেক্ষণ মোটামুটি শেষ হয়েছে। গেল সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা আগামী প্রান্তিকগুলোয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও করপোরেট আয়ের ওপর এর প্রভাব আঁচ করার চেষ্টা করেছেন। তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সামগ্রিক আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটে এমন সংবাদগুলো। এর মধ্যে সুদের হার না কমানো, অন্তর্মুখী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস অন্যতম। দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকিং খাতের পক্ষ থেকে জোর আহ্বান সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতির কথা বিবেচনা করে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য সুদের হার কমায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। জানুয়ারি থেকে সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনতে ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা সরকারি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর দাবি করছিলেন। এদিকে সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সেকেন্ডারি বাজারে বিক্রির চাপ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নেয়, যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে সপ্তাহের বাকি লেনদেন দিবসগুলোয়। নিয়মিত কমিশন সভায় এদিন বিএসইসি সিদ্ধান্ত নেয়, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের পর দুই হিসাব বছরে বোনাস শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক ও ৫ শতাংশের বেশি শেয়ারধারীরা। এছাড়া মার্জিনবিধি শিথিল রাখার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে। ঋণাত্মক ইক্যুইটির বিপরীতে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতি সংরক্ষণের জন্যও সময় বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৬৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৪২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ১০ শতাংশ বা ২৩ দশমিক ০৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বিএসআরএম স্টিল, বে´িমকো ফার্মা, ইফাদ অটোস, স্কয়ার ফার্মা, কেডিএস এক্সেসরিজ, সাইফ পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সামিট পাওয়ার ও আমান ফিড লিমিটেড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : দেশ গার্মেন্টস, এম আই সিমেন্ট, আমান ফিড, নাভানা সিএনজি, বিএসআরএম স্টিল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ডেল্টা লাইফ, ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, মবিল যমুনা বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাভার রিফ্যাক্টরীজ, ঢাকা ডাইং, এ´িম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, উসমানিয়া গ্লাস, ডেল্টা স্পিনার্স, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, মডার্ন ডাইং, প্রাইম ফাইনান্স ১ম মিউচুয়াল ফান্ড এবং মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ।
×