ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনুমতি মিলছে সালমান বাট ও আসিফের

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

অনুমতি মিলছে সালমান বাট ও আসিফের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহাম্মদ আমিরের পর এবার পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন দেশটির আরও দুই ফিক্সিং-কলঙ্কমুক্ত তারকা সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ওঠার তিন মাসের মাথায় মাঠে নামার সুযোগ পাবেন এই দুই ক্রিকেটার। এমনটা জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওরা জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম শ্রেণীর ওয়ানডে টুর্নামেন্টে খেলা শুরু করতে পারবে। চলমান রিহ্যাব শেষে বাট ও আসিফ কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে অংশ নেবে।’ ইতোমধ্যে পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠলেও আগামী ২০১৬Ñএর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিসিবির রিহ্যাবে কাটাবেন এই দুই ক্রিকেটার। এরপরই কেবল বড় পরিসরের ক্রিকেটে খেলার অনুমতি মিলবে। গত আগস্টে আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) দেয়া পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ইতোমধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন অপর কলঙ্কিত ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির (বয়স কম হওয়ায়)। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লীগেও (বিপিএল) দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন। তবে বাট-আসিফের বিষয়টা ভিন্ন। রিহ্যাব চলাকালীন তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন, তবে একাদশে থেকে মাঠে নামতে পারবেন না। অবশ্য নতুন করে ছোট একটা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন বাট ও আসিফ। পিসিবির অনুমতি না নিয়েই মাঠে নেমে পড়েছিলেন তারা! প্রথম শ্রেণীর টুর্নামেন্ট কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে আগেই চুক্তি হওয়া ওয়াপদার হয়ে একটি ম্যাচের সেরা একাদশে রাখা হয়। ওই ম্যাচে ওয়াপদার প্রতিপক্ষ ছিল খান রিচার্ডস একাডেমি। ম্যাচ শুরুর আগে দু’দলের অধিনায়ক যখন টস করতে নামবেন তখন ওয়াপদা একাদশের তালিকা দেখে বেঁকে বসেন ল্যাবরেটরির অধিনায়ক সাঈদ আনোয়ার জুনিয়র। তিনি কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন। ল্যাবরেটরি ওয়াপদার কাছে বাট-আসিফের খেলার ব্যাপারে ‘নো অপজেকশন’ সার্টিফিকেট না দেখিয়ে বরং পিসিবির অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছিল। ম্যাচ রেফারি ওই চিঠি প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তাদের একাদশ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ২০১০-এর আগস্টে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে বাজির হোতা মাজহার মাজেদের সঙ্গে ফিক্সিংয়ের সূত্র ধরে ইচ্ছাকৃত ‘নো বল’ করে গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন আসিফ ও আমির। নেপথ্যে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন সে সময়ের অধিনায়ক বাট। খবরটি ফাঁস করেছিল বৃটিশ ট্যাবলয়েড ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ সেপ্টেম্বর ’১০ আইসিসি প্রাথমিকভাবে বাটকে ১০, আসিফকে ৭ ও আমিরকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ।
×