ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে ॥ বিপাকে দুই দল

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে ॥ বিপাকে দুই দল

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছে বড় দুই দল। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাগে আনতে পারছেন না শীর্ষ নেতারা। স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে তারা মনোনয়ন জমা দিয়ে এখন দরকষাকষি করছেন। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। গাইবান্ধা ॥ জেলার গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গাইবান্ধা পৌরসভায় আট, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় নয় ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় আট প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ কোন দলেই বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তবে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা দেবাশীষ কুমার সাহা, আ’লীগ নেতা শাহীন আহম্মেদ সবুজ, পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি এটিএম মাসুদ-উল-ইসলাম চঞ্চল, আ’লীগ নেতা লুৎফর রহমান মুক্তা। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মুকিতুর রহমান রাফি, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম। উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মুকিতুর রহমান রাফি, সাবেক পৌর মেয়র ও বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের শ্যালক। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও তার স্ত্রী বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুরী মোর্শেদা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নেত্রকোনা ॥ নেত্রকোনার পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে মেয়র পদে তিনটিতে আওয়ামী লীগের এবং একটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে বিদ্রোহী এই প্রার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দল দুটি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বাইরে নেত্রকোনার মদন উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান শামীম, মোহনগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির এবং কেন্দুয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন কোকিল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে দুর্গাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ফরিদ। বিদ্রোহী এই প্রার্থীদের কারণে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাচ্ছে। কোন কোন পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা কম থাকলেও তারা নিজ দলীয় প্রার্থীর জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন দলের সমর্থকরা। বিশেষ করে মদন উপজেলায় আওয়ামী লীগ এবং দুর্গাপুরে বিএনপির দলীয় দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছেন দল দুটির মনোনীত প্রার্থীরা। কারণ তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব ভোটব্যাংক। বোয়ালমারী ও নগরকান্দা ॥ বোয়ালমারী পৌরসভায় বিএনপি ও জামায়াতের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে দু’জন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, বিএনপির প্রার্থী পৌর বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস শুকুর শেখ, স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই মোজাফফর হোসেন বাবলু মিয়া, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মৃধা লিটন। এছাড়াও পৌর জামায়াতের আমির সৈয়দ নিয়ামুল হাসান তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। নগরকান্দা পৌরসভায় জামায়াতের কোন প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রায়হান উদ্দিন মিয়া, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন মোল্যা ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন বিকুল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
×