ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের ধারণা

বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলায় ব্যবহার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলায় ব্যবহার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণ করে হত্যাকা- চালিয়েছে এলাকার বাইরের সুপ্রশিক্ষিত বন্দুকধারী কোন কিলার গ্রুপ। যাদের কাছে ছিল আধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। রিমান্ডে নিয়ে ৩ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ কোন ক্লু না পেয়ে এই ধারণাই করছে। শনিবার রিমান্ড শেষ হলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে তদন্ত চলমান। গেল ২৬ নবেম্বর বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত গ্রামে শিয়া মসজিদে বন্দুকধারী দুর্বৃত্তরা এশার নামাজের মুসল্লিদের ওপর গুলি চালালে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়। শিয়া মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষ তদন্ত টিম গঠিত হয়। পুলিশ মাঝিহট্ট গ্রাম থেকে কথিত জেএমবির সাবেক ক্যাডার ও এহসার সদস্য আনোয়ার হোসেন (৪৮), মাদ্রাসা ছাত্র জুয়েল মিয়া (২৪) ও মোলামগাড়ি ইফাদুল উলুম কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল আলমকে (৫৮) গ্রেফতারের পর প্রথম দুইজনকে ৭ দিন করে পরের জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। পুলিশ ৪টি পয়েন্টের ওপর গুরুত্ব দেয়- স্থানীয় বিরোধ, জামায়াত জেএমবি আনসারুল্লাহ টিমের সম্পৃক্ততা। সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে কোন ক্লু বা হত্যার মোটিভ পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখন মনে করছে সুপ্রশিক্ষিত বন্দুকধারী একটি কিলার গ্রুপ বাইরে থেকে এসে হত্যাকা- ঘটিয়েছে। পুলিশ ওই মসজিদ থেকে যে ৮টি গুলির খোসা উদ্ধার করে প্রাথমিক দৃষ্টিতে ও ধারণায় তা অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্রের। তবে ব্যালেস্টিক রিপোর্ট পাওয়ার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। খোসাগুলো সুক্ষè পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই দিনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের যে বিবরণ তাতে মোটর বাইকে করে আসা দুর্বৃত্তের সংখ্যা ছিল তিন জন। যারা পরিকিল্পিতভাবে মাগরিবের নামাজের সময়ই শিয়া মসজিদে মুসল্লির ছদ্মবেশে প্রবেশ করে এবং এশার নামাজ শুরু হলেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকা- ঘটিয়ে মসজিদের দেয়াল টপকে সটকে পড়ে। মৌলবাদের বিরুদ্ধে এনজিওকে ভূমিকা পালন করতে হবে ॥ মেনন স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এনজিওগুলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে সম্পৃক্ত হতে হবে। কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, এনজিওকে পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে। মন্ত্রী শনিবার দুপুরে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা নবলোক-এর ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নবলোকের চেয়ারপার্সন এ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ হোসেন বাচ্চু সভাপতিত্ব করেন।
×