ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ঐশীর আপিল

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ঐশীর আপিল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাবা-মা’র হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমান উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আপিল আবেদনে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়ার পাশাপাশি ঐশীর বিচার প্রক্রিয়াকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রবিবার দুপুরে ঐশীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন রানা এ আপিল দায়ের করেন। হাইকোর্টে ঐশীর পক্ষে লড়বেন আইনজীবী এ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান। নিজ মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ঐশীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের নথিসহ ডেথ রেফারেন্স গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে আসে। গত ১২ নভেম্বর পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মেয়ে ঐশীকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দেওয়া হয় তাকে। ওই দিন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ রায়টি ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের ওই কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মোঃ মশিউর রহমান রুবেল রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন তিনি। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের। পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান নিজ বাসায় খুন হওয়ার পর এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সে সময় গণমাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে সব খবরাখবর আসে তাতে দেখা যায়, ঐশী অল্প বয়সেই উচ্ছৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের চাহিদা পূরণে এক সময় মা-বাবার ওপর সে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ ব্যাপারে মা-বাবা বাধা দিলে ঐশী তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে হত্যা করে।
×