ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

এক্সপ্লোর বাংলাদেশ- পর্যটন বিষয়ক ব্যতিক্রমী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

এক্সপ্লোর বাংলাদেশ- পর্যটন বিষয়ক ব্যতিক্রমী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষক জমি চাষ করছে, বাঁকে করে ইট বইছে দিনমজুর, প্রতিবন্ধী শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে, যাত্রীবাহী ট্রাক, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ী এলাকার ঘর, কামারের দা-বটি তৈরি, রাস্তার পাশে বসে দাড়ি কামানোর দৃশ্যসহ বেশ কিছু বাস্তব চিত্র শোভা পাচ্ছে দেয়ালে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পায়ে হেঁটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যতিক্রমী কিছু দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেছেন সরকারী তিতুমীর কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এম জেড রহমান। এসব ছবি নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন লবিতে শুরু হয়েছে এক্সপ্লোর বাংলাদেশ: পর্যটন বিষয়ক আলোকচিত্র এবং ভ্রমণবিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী। জাতীয় জাদুঘর ও ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সহায়তায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ট্যুরিজম কর্তৃক আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ভিডিও চিত্রও প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। রবিবার বিকেলে জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারী তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু হায়দার আহমেদ নাসের। উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড দেশে-বিদেশে পর্যটন শিল্পের প্রচার ও প্রসারে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও যুব সম্প্রদায়কে পর্যটনে আকৃষ্ট করতে উৎসাহ প্রদানমূলক কর্মকা- পরিচালনা ও সহায়তা প্রদান করছে। আজকের এই প্রদর্শনীর আয়োজন এই কর্মকা-েরই অংশ। বোর্ড মনে করে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের অন্য তরুণরাও উদ্বুদ্ধ হবে এবং দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আশা করছি ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ থেকে তরুণদের পর্যটন কর্মকা-ে আগ্রহী করে তুলতে এ ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা অভ্যাহত থাকবে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আলোকচিত্রী রহমানের হাতে তার অনন্য কীর্তির স্বীকৃতিসরূপ সনদপত্র তুলে দেন। জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অতিথিরা লবির গ্যালারি ঘুরে ঘুরে প্রদর্শনীর ছবি দেখেন। প্রদর্শনীতে ৪০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। এতে ২টি ভিডিওচিত্রও রয়েছে, যার মধ্যে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবনাচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। আলোকচিত্রী এম জেড রহমান একজন ভ্রমণ পিয়াসী। তিনি এ বছরের ২০ এপ্রিল দেশের সবচেয়ে উত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে তার যাত্রা শুরু করেন এবং ২ জুন দেশের সর্ব দক্ষিণের স্থান টেকনাফে পৌঁছান। মাত্র ৪৪ দিনে তিনি এসব ছবি তোলেন ও ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। তার এই অভিযানের সেøাগান ছিল ‘এক্সপ্লোর বাংলাদেশ’। যার মাধ্যমে তিনি দেশের তরুণ সমাজকে ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন। প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল পর্যন্ত এবং প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। ঢাবির দশম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবের চতুর্থ দিন সন্ধ্যায় ‘৪.৪৮ সাকোসিস’ মঞ্চস্থ ॥ ‘শিল্পের মুক্ত ভাষা অভিমুখে’ সেøাগানে টিএসসি মিলনায়তনে চলছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০১৫’। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগ আয়োজিত এ উৎসবের রবিবার ছিল চতুর্থ দিন। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় সারা কেইনের নাটক ‘৪.৪৮ সাকোসিস’। নাটকটি অনুবাদ করেছেন নীলা সাহা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন সাওগাতুল ইসলাম হিমেল। উত্তরাধুনিক এই নাটককে ব্যথার মানবিক অভিজ্ঞতার ব্যবচ্ছেদরূপে একদিক থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে। নাট্যকার সারা কেইন নিজের তীব্র ডিপ্রেশনের সময়ে, ১৯৯৮ থেকে ৯৯ সালের শরৎ ও শীতকাল জুড়ে এটি লিখেন। এর পরপরই ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন। নাটক লেখা ও ডিপ্রেশনের দিনগুলোতে তার ঘুম ভাঙত ভোর রাত ৪টা ৪৮ মিনিটে। এই আত্মজৈবনিক মনোবৈকল্যের সৃষ্টিশীলতার দৃষ্টান্তই হলো নাটক ‘৪.৪৮ সাইকোসিস’। এর কাঠমোতে গৃহীত হয়েছে এক ব্যক্তির অনেকগুলো ভগ্নদশা। এই নাটক যেন এক ডাক্তার ও রোগীর মধ্যকার অনেকগুলো মনোলগ ও টুকরো কিছু ডায়ালগের সমষ্টি। পুরো নাটকটি আত্মহত্যাকামী মনোবৈকল্যের ভেতরগত এক ভূ-দৃশ্য উন্মোচিত করে। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন উম্মে সুমাইয়া, কীর্তি বিজয়া, নুসরাত জাহান হৃদিকা ও আব্দুল্লাহ আল জাবির।
×