ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশবান্ধব খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

পরিবেশবান্ধব খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পরিবেশবান্ধব খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতে ঋণ বিতরণে কাক্সিক্ষত সাড়া দিচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রমের ত্রৈমাসিকভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর শেষে সবুজ অর্থায়নে ব্যাংকগুলো ১০ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যা জুন শেষে ছিল ১১ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে ৩ মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ কমেছে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। চলতি বছর ব্যাংকগুলোর (নতুন ব্যাংক ছাড়া) মোট বিনিয়োগের ৫ শতাংশ এ খাতে অর্থায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। কিন্তু ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একই সময়ে জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলে জুন প্রান্তিকে ২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করলেও সেপ্টেম্বরে সেটা কমে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ সময় ব্যাংকগুলো মার্কেটিং, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। জুনে এর পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সেপ্টেম্বরে ১২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ করেছে, জুনে যা ছিল ৭৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলো ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, জুনে যা ছিল ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। বিদেশী ব্যাংকগুলো গ্রিন কার্যক্রম অর্থায়নে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, আগের প্রান্তিকে ছিল ১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। আর নতুন অনুমোদন পাওয়া ৯টি ব্যাংক ৬৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৪৪৩ কোটি টাকা গ্রিন কার্যক্রমে বিনিয়োগ করেছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫২০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব গ্রিন ব্যাংকিং পলিসি ও গ্রিন ব্যাংকিং ইউনিট এ খাতে বরাদ্দ করেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) পদে দায়িত্ব নিলেন কামরুল আমিন স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন বিসিএস প্রশাসনের যুগ্মসচিব কামরুল আমিন। গত ২ ডিসেম্বর তিনি দায়িত্বভার বুঝে নেন। বন্দরে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্ব) চট্টগ্রামের চীফ এস্টেট অফিসার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বন্দর সূত্রে জানানো হয়, কামরুল আমিন এর পূর্বে বাংলাদেশ সরকারের চট্টগ্রামে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক, বিনিয়োগ বোর্ড ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশ বিদেশে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণও নেন। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তিনি শহীদ রুহুল আমিনের ছোট ভাই।
×