ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ১০ পৌরসভায় ১২৬ ভোট কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রামে ১০ পৌরসভায় ১২৬ ভোট কেন্দ্র

আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের পরপরই চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভায় ভোট কেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী এবার চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভায় ১২৬ ভোট কেন্দ্রের ৭৪০ বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। এসব ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন কর্মকর্তাও নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, এবার ১২৬ কেন্দ্রের ৭৪০ বুথে ভোট গ্রহণ করবেন ১৪০ প্রিসাইডিং অফিসার, ৮১০ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ১ হাজার ৬২০ পোলিং অফিসার। আগামী ১৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার সন্ধ্যায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভার মধ্যে বারৈয়ারহাট পৌরসভায় ৯ ভোট কেন্দ্র এবং ২০ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। মীরসরাই পৌরসভায় ৯ কেন্দ্র এবং ২৭ ভোট কক্ষ, সন্দ্বীপ পৌরসভায় ১৫ কেন্দ্র এবং ৯৮ কক্ষ, সীতাকু- পৌরসভায় ১৩ কেন্দ্র এবং ৯০ বুথ, রাউজান পৌরসভায় ১৯ কেন্দ্র ও ১৩০ বুথ, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় ১১ কেন্দ্রে ও ৬৯ কক্ষ, পটিয়া পৌরসভায় ১৬ কেন্দ্র ও ৮৩ কক্ষ, চন্দনাইশ পৌরসভায় ১১ কেন্দ্র ও ৬৫ কক্ষ, সাতকানিয়া পৌরসভায় ১২ কেন্দ্র ও ৯৩ কক্ষ, বাঁশখালী পৌরসভায় ১১ কেন্দ্র ও ৬৫ কক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আবদুল বাতেন আরও জানান, এবার চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভায় ১২৬ কেন্দ্র ও ৭৪০ বুথে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রতি ভোট কেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি বুথে একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুইজন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। পৌর নির্বাচনে মাঝ পথ থেকে পালিয়ে যাবেন না খালেদার উদ্দেশে পূর্তমন্ত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ৬ ডিসেম্বর ॥ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়া পেট্রোল বোমা মেরে ও অগ্নিসংযোগ করে অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছেন। আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করতে করতে এক সময় তিনি নিজেই খান্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন করবেন না। বিদেশে গিয়ে পুত্র তারেক জিয়ার সঙ্গে শলাপরামর্শ করে ও বিদেশীদের সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়ে দেশে এসে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিশ্চিত পরাজয় বুঝে তিনি মাঝ পথে পালিয়েছেন। এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে। তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, মাঝ পথ থেকে পালিয়ে যাবেন না, পৌর নির্বাচনে মাঠে থেকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। সভায় জেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আ ন ম সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের, মিয়া মোহাম্মদ শাহ্জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন বিএসসি, মাওলা জিয়াউল হক লিটন, সামছুদ্দিন জেহান, শহর আ’লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল।
×