ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বকশীগঞ্জে হানাদারমুক্ত দিবস পালন নিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫

বকশীগঞ্জে হানাদারমুক্ত দিবস পালন নিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৭ ডিসেম্বর ॥ কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির নাম না থাকায় ছাত্রলীগের সভাপতি জুম্মান তালুকদারের নেতৃত্বে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক বাবুল চিশতীকে বিতর্কিত করার জন্য মিছিল বের করে। ছাত্রলীগের ওই মিছিলের প্রতিবাদে হাজারো শ্রমিক জনতা লাঠি নিয়ে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল বের করে। রবিবার সন্ধ্যায় পাল্টাপাল্টি এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এঘটনায় বকশীগঞ্জ শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে অতিরিক্ত পুুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জ নাগরিক কমিটির উদ্যোগে মালিবাগ মোড়ে সোমবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মফিজ উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সেলিম রেজা, অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, প্রফেসর মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, সিরাজুল হক। গত ৪ ডিসেম্বর কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবসের ওই অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদকে আমন্ত্রণ না করার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুম্মান তালুকদারের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামালপুর মুক্ত দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজক মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক বাবুল চিশতীর বিপক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। পরক্ষণেই ছাত্রলীগের এই ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে ও মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক বাবুল চিশতীর পক্ষে লাঠি মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে দুই সহস্রাধিক বিক্ষুব্ধ শ্রমিক জনতা অংশ নেয়। দুই গ্রুপের মিছিলকে কেন্দ্র করে মুহুর্তের মধ্যে পৌর শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। উল্লেখ্য ৪ ডিসেম্বর কামালপুর মুক্ত দিবসের ওই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান খান, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, মহাসচিব এমদাদ হোসেন মতিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক এমপি, শফিকুল ইসলাম খোকা, জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, বকশীগঞ্জ থানার ওসি পিএস এম মোস্তাছিনুর রহমান ও ব্যারিস্টার রাশেদুল হক চিশতী উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবুল চিশতীকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন, জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম খোকা, যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন, কমান্ডার আনোয়ার হোসেন। এ ব্যাপারে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি জানান, কুচক্রী মহল মুক্তিযোদ্ধা বাবুল চিশতীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এই মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করতে আহবান জানান।
×