রিফাত-বিন-ত্বহা, নড়াইল থেকে ॥ আওয়ামী লীগের দূর্গ খ্যাত নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণা এখন তুঙ্গে। যাচাই-বাছাই শেষে বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ সাত মেয়র প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে তুলেছে। প্রার্থীদের ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন পৌর নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ প্রার্থীরা রাতের ঘুম হারাম করে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে কালিয়া পৌরসভার সাত মেয়র ও ৪৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর পদচারণায় এখন মুখরিত পৌর এলাকা। স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্তসহ মডেল পৌরসভা গড়ার অঙ্গীকার করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। এবারের প্রার্থী তালিকায় মাদকসেবীর নাম থাকায় ক্লিন ইমেজের এক প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান হীরা ছাড়াও বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে মাঠে রয়েছে চার প্রার্থী। এরা হলেনÑ তরুণ প্রজন্মের আ’লীগ নেতা ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন, জেলা মহিলা আ’লীগের নেত্রী সোহেলী পারভীন নিরী, পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিএম ইমদাদুল হক টুলু ও শেখ লায়েক হোসেন। এদিকে বিএনপি মনোনীত কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া কালিয়া পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক এসএম ইকরাম রেজাও নির্বাচনী মাঠে আছেন। কালিয়া পৌর নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে নয়টি ওয়ার্ডে ৩৬ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে আছেন।
আ’লীগের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মনোনয়ন পাওয়ায় দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। নির্বাচিত হলে ব্যক্তিকে প্রাধান্য না দিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। দলের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি আছে, অচিরেই তা ঠিক হয়ে যাবে। বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ’লীগ নেতা ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন জানান, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের জনগণেরই সমর্থন রয়েছে তার পক্ষে। বিএনপির প্রার্থী স ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পৌরসভার ভঙ্গুর ড্রেনেজ ব্যবস্থা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। রাস্তার বেহাল দশা। রয়েছে বিদ্যুৎ সমস্যা। পৌরসভার কোন উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার সমাধান করব। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইকরাম রেজা জানান, দলীয় নেতাকর্মী এবং পৌরবাসী তার সঙ্গে আছে। বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। নারী মেয়রপ্রার্থী সোহেলী পারভীন নিরী বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আমি মাঠে নেমেছি। বিজয়ী হলে মডেল পৌরসভা করতে চাই। নারী, পুরুষ, শিশুসহ জনকল্যাণে কাজ করতে চাই।
কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বলেন, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন বিভেদ নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে মানুষের দ্বারে-দ্বারে যাচ্ছি। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। এ নির্বাচনে আমি শতভাগ আশাবাদী নৌকা প্রতীকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: