ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবুল মাল আবদুল মুহিত

ছেলেবেলা ও ছাত্রজীবন

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫

ছেলেবেলা ও ছাত্রজীবন

ঢাকায় ছাত্রজীবনের আরও কথা (৮ ডিসেম্বরের পর) আমি নানা কারণে সিলেটে যুক্তফ্রন্টের প্রচারণায় তেমন অংশ নিতে পারলাম না। কারণ, ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কিছু কাজ ছিল। সিলেটে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি খেলাফত আন্দোলনে অত্যন্ত মূল্যবান ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু কোনদিনই কোন নির্বাচনে জয়লাভ করতে সক্ষম ছিলেন না। একটি কারণ হয়ত ছিল, তিনি কংগ্রেসের অখণ্ড ভারতের অনুসারী ছিলেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন তার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিম লীগের শিক্ষামন্ত্রী আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে আব্দুল্লাহকে আমি সমর্থন করি এবং আমার আব্বা ছিলেন আবদুল হামিদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। আগেই বলেছি যে, আবদুল হামিদ ছিলেন আমার আব্বার বড় মামা এবং তার প্রত্যেক নির্বাচনেই আমার আব্বা ছিলেন তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। তাই এক হিসেবে আমি নির্বাচনী প্রচারণায় যে তেমন সময় দিতে পারলাম না সেটা বাড়িতে পারিবারিক শান্তির জন্য ভালই ছিল। তবে আব্দুল্লাহ আমার কাজটি অনেক সহজ করে দিলেন। তিনি বললেন, ‘তুমি আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা না করলেও পারো। এই নির্বাচনী এলাকায় আমাদের অবস্থা ভাল। তুমি বরং নিকটস্থ নির্বাচনী এলাকায় গোলাপগঞ্জে যাও। সেখানে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী মওলানা সাখাওয়াতুল আম্বিয়া বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন।’ আমি সিলেটে সম্ভবত ৪/৫ দিন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করি এবং আমার মূল প্রচারণা ছিল গোলাপগঞ্জে, বালাগঞ্জে এবং ছাতকে। ৮ ও ৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো এবং তাতে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয়। ৩০৯টি আসনের মধ্যে মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯টি এবং ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন। বাকি সকলেই ছিলেন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কংগ্রেস দল তাদের নামেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তবে তারাও যুক্তফ্রন্টের একটি দল ছিল। ক্স ২৩-২৭ এপ্রিলে কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি ছিল সেই সময়ে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের সর্ববৃহৎ সম্মেলন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তখন সব সেরা সাহিত্যিক ও সঙ্গীতজ্ঞ এই সম্মেলনে যোগ দেন। তাদের জন্য সবচেয়ে বড় যে বিষয় ছিল সেইটি ছিল শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন। সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং তার পরেই আশি বছর বয়সী ড. আবদুল গফুর সভাপতির ভাষণ প্রদান করেন। তার বক্তৃতাটি পাঠ করেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্র বর্তমান এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ খান বাহাদুর আবদুর রহমান খান। যুবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ আলমুতী শরফুদ্দীন এবং আবদুল গনি হাজারী। অত্যন্ত সুন্দর একটি বক্তৃতা দেন অধ্যাপক অজিত গুহ। তার পাঠ এবং শব্দ চয়ন দুটিই ছিল মনোমুগ্ধকর। আমার বিশেষভাবে মনে পড়ে সুসাহিত্যিক মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা এবং সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের গান। পশ্চিম বাংলা থেকে আগত অতিথিদের মধ্যে কবি সুভাষ, লেখিকা রাধারাণী দেবী, অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ, গায়ক সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এদের কথা এখনও মনে আছে। অধ্যক্ষ আবুল ফজল এবং কবি জসীমউদ্দীনের বক্তৃতাও খুব আকর্ষণীয় ছিল। তাই সম্মেলনের ৪টি দিন মহাআনন্দে ও ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেল। মুসলিম লীগ শাসন আমলের ৬ বছরে আমরা যখন একটি শ্বাসরুদ্ধকর কোঠরে আবদ্ধ ছিলাম সেখানে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতার ফুরফুরে হাওয়া যেন প্রবাহিত হলো। আমার মনে হয় স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় যে আনন্দ লেগেছিল তারপর এই দ্বিতীয়বার সেই আনন্দের জোয়ার আবার অনুভব করলাম। ক্স আমি মে মাসে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার জন্য খুব জোরেশোরে পড়াশুনা শুরু করি। আমার হিসাবে ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৩ বছরে আমি সত্যিকার অর্থে নিজের পড়ার বিষয়ে শ’ তিনেক ঘণ্টা ব্যয় করি। মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে একতালে প্রায় ৫শ’ ঘণ্টার মতো পড়াশুনা করি। সম্মান পরীক্ষার আগে আমি আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম খুবই সন্তুষ্ট এবং পরীক্ষায় ভাল করা নিয়ে আমার তেমন কোন সন্দেহ ছিল না। আমার তিনজন শিক্ষক আমার এই আত্মবিশ্বাসে খুবই মূল্যবান অবদান রাখেন। অধ্যাপক সৈয়দ আলী আশরাফ, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা এবং রবার্ট গোমেজ সবসময়ই আমাকে উৎসাহিত করেন এবং আমার সম্বন্ধে উচ্চাশা পোষণ করেন। দু’জন শিক্ষক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন এবং একেবারে অপদার্থ আর এক শিক্ষক বিসি রায় আমাকে তেমন পছন্দ করতেন না। পরীক্ষার ঠিক প্রাক্কালে অধ্যাপক টার্নার পুনরায় বিভাগের দায়িত্ব নেন। এই উৎফুল এবং আশাপ্রদ পরিবেশে আমি ২৫ জুলাই পরীক্ষার হলে বসি এবং ৮ আগস্ট আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়। ঠিক পরের দিনই মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা প্রদানকালে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে। ২৪ জুলাই আমার বন্ধু এবং নিকটস্থ একটি কামরার অধিবাসী সৈয়দ হাসান আহমদ আমাকে এসে বলল, সে আমার ঘরে বসতে চায়। তার কোন প্রশ্ন বা বক্তব্য নেই। সে শুধু দেখতে চায় আমি কিভাবে পড়াশোনা করি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তার কি হয়েছে? সে বলল, সে পরীক্ষা নিয়ে ভারি বিচলিত এবং খুবই নার্ভাস। তার ধারণা সে যদি আমার মতো আত্মবিশ্বাসী কারও সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটায় তাহলে তার স্বস্তি মিলবে। আমি আমার পড়াশুনায় ব্যস্ত থাকলাম। হাসান কয়েক ঘণ্টা আমার কামরায় বসল। প্রথম পরীক্ষার পরের দিনই তিনজন ভাল ছাত্র (তিনজনই ছিল পদার্থ বিভাগে) পরীক্ষা দেয়া থেকে বিরত থাকল। এরা ছিল পদার্থ বিজ্ঞানের সেরা ছাত্র মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামান, আরও দু’জন শীর্ষস্থানীয় ছাত্র সৈয়দ হাসান আহমদ এবং ওয়াজেদ আলী। এরা সবাই পরীক্ষা দিলে সম্ভবত প্রথম শ্রেণী পেয়ে উত্তীর্ণ হতো। ক্স মে মাসে আমি পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করার উদ্দেশ্যে বাড়ি গেলাম এবং জুলাই মাসের শেষ দিকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করলাম। এই প্রায় তিন মাস আমি খুব নিয়ম-শৃঙ্খলার সঙ্গে পড়াশুনা চালাই। সিলেটে পড়াশুনার সময় আমি মাঝে মাঝেই আমার শিক্ষক আবু সাইয়িদ চৌধুরীর বাসস্থানে অথবা কলেজে গিয়ে নানা বিষয়ে আলাপ করতাম। তার নির্দেশনা মতো কোন কোন সময় কলেজ লাইব্রেরি থেকে বইও নিয়ে আসতাম। এখানে একটু বলে রাখতে চাইÑ আমাকে যখন কলেজে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয় তখন আমাকে আজীবন কলেজ লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগও দেয়া হয়। ২৫ জুন আমি কলেজে গিয়েছিলাম কিছু বই আনতে। সেখানে গিয়ে দেখি প্রদেশে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্র-ছাত্রীরা সেদিন ক্লাস পরিত্যাগ করছে। আমার পরিচিত ছাত্র কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে আমি গ্রন্থাগারে যাই এবং পরে অধ্যাপক চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে বসে কিছু সময় কাটাই। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পুলিশ জানতে পারে যে, আমি সেদিন কলেজে ছিলাম। যেহেতু ঢাকায় আমি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম সুতরাং পুলিশ ধরে নেয় যে, আমি এই বিক্ষোভের একজন সংগঠক ছিলাম। সেই কারণেই ২৬ তারিখ দুপুরে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। আব্বা আমার গ্রেফতারের খবর পেয়েই জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে জানতে চান আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আলি আহমদ তাকে সেই তথ্য প্রদান করেন। অতঃপর আব্বা থানায় আসেন আমার সঙ্গে কথা বলতে এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি কি আগের দিন কলেজে গিয়েছিলাম এবং সেখানে কি করতে যাই। আমি তাকে আমার কাহিনী বললাম এবং আরও যোগ দিলাম যে, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসক আমার কাহিনী অনুসন্ধান করার হুকুম দিলেন। পুলিশ সরাসরি অধ্যাপক চৌধুরী সাহেবের কাছে ধরনা দিল। তিনি আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুনে একেবারে হতভম্ব। তার বক্তব্য ছিল এমন : ‘মুহিত তো প্রায়ই কলেজে আসে, হয় সে গ্রন্থাগারে না হয় আমার সঙ্গে বসে। আপনারা কি করেছেন? দেশের একটি সেরা ছাত্রের জীবন বরবাদ করতে এমন অপকর্ম কেন করলেন? সে এখন পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত। বিক্ষোভ বা রাজনীতি করার সময় তার মোটেই নেই।’ যাই হোক, জেলা প্রশাসক চটজলদি তার অনুসন্ধান শেষে আমাকে মুক্ত করে দেন। আমি বাড়ি ফিরে অধ্যাপক চৌধুরীর বাড়ি গেলাম এবং তিনি খুব খুশি হয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘ভাগ্যিস তুমি গতকাল আমার সঙ্গে শিক্ষকদের কামরায় গিয়েছিলে। তা নইলে তো তোমার পক্ষে কথা বলার আমার কোন সুযোগ থাকত না।’ এখন মনে হয় এই রকম দ্রুত অনুসন্ধান এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত আজকাল চিন্তাও করা যায় না। এই শিক্ষাটি কিন্তু স্বল্প সময়ের জন্য মাঠ প্রশাসনে থাকাকালে আমাকে সবিশেষ সাহায্য করে। বাগেরহাট মহকুমা হাকিম হিসেবে চাকরিকালে আমি দ্রুত অনুসন্ধান ও অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিক সুযোগ প্রদানে সব সময় খেয়াল করতাম। আমি যেমন সাবজেল পরিদর্শনকালে হাজতি কারাবন্দীদের কাগজপত্র দেখতাম এবং যেখানে ছয় মাসের বেশি অসফল অনুসন্ধানের বৃত্তান্ত দেখতাম পরের দিনই আদালতে তাদের খালাস করে দিতাম। ক্স ওই বছর ১৭ আগস্ট পাকিস্তানের ক্রিকেট টিম ইংল্যান্ডের ওভাল মাঠে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটের গৌরব যুগের সূচনা করে। আমাদের ইংরেজী বিভাগে সে সময় বেশ কয়েকজন ভাল ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিল। আমরা ঠিক করলাম ওভাল মাঠে পাকিস্তানের বিজয় মনে রাখার জন্য আমরা একদিন ক্রিকেট খেলব এবং উৎসব করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সমসাময়িক আরও কিছু ক্রিকেট উৎসাহীকে নিয়ে আমরা ২০ আগস্ট সলিমুল্লাহ হলের খেলার মাঠে ক্রিকেট খেলতে নামলাম। ইংরেজী বিভাগের ভাল খেলোয়াড় রশিদুজ্জামান, পদার্থ বিজ্ঞানের নইম কামাল, রসায়নের হুমায়ুন কবীর (মাত্র কয়েকদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন), বিজ্ঞানের ছাত্র প্রয়াত আজিজুর রহমান, এক সময়ের মন্ত্রী হাবিবুল্লা খান এদের মতো ভাল খেলোয়াড় যেমন এই খেলায় অংশ নিল, তেমনি অংশ নিলাম আমরা উৎসাহী নামেমাত্র খেলোয়াড়রা, যেমন ফারুক চৌধুরী, আমি, লতিফুর রহমান (পরবর্তীকালে প্রধান বিচারপতি) এবং আরও অনেকে। খেলাটি আসলে ক্রিকেট ছিল না, ছিল পানি ক্রিকেট। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে; কিন্তু আমরা খেলেই চলেছি। বল সচরাচর ডুবে যাওয়া উইকেটে পড়লে আর ওঠে না। তবে ফুলটস বলে মাঝে মাঝে ব্যাট লেগে গেলে রান নিশ্চিত। আমরা সম্ভবত দুই ঘণ্টার মতো খেলা করি। মোট কত রান উঠেছিল আমার ডায়েরিতে তা লেখা নেই; তবে ২৫/৩০ রানের বেশি ছিল না। ক্স ১৯৫২ সালের ২৪ আগস্ট তদানীন্তন প্রাদেশিক লাটসাহেব আবদুর রহমান সিদ্দিকীকে সলিমুল্লাহ হলের আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। কিন্তু সেদিন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আপত্তি ওঠে এবং কিছু সময়ের জন্য অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে হয়। সেই বিক্ষোভে কয়েকটি ফোল্ডিং চেয়ার যুদ্ধাস্ত্রে পরিণত হয়। সে যুগে এর চেয়ে শক্তিশালী আর কোন অস্ত্র ছাত্রদের হাতে ছিল না। যাই হোক, হল কর্তৃপক্ষ এই বিক্ষোভ দমন করে রীতিমতো সম্মাননা অনুষ্ঠান চালিয়ে গেলেন। সিদ্দিকী কলকাতায় সাংবাদিকতা করতেন। তিনি খুব ভাল ইংরেজী লিখতেন এবং তার রসালো বক্তব্য ছিল মনোমুগ্ধকর। তিনি উর্দুভাষী ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে তেমন কোন ক্ষোভ কারও ছিল না। চলবে...
×