স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি পবিত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। যে দায়িত্ব সংবিধান ইসিকে দিয়েছে তা যেন সঠিকভাবে পৌরসভা নির্বাচনে পালন করা হয়। সিইসিকে সে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শুরু থেকে বিএনপির প্রার্থীরা বিভিন্ন রকম বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকে প্রার্থী হতে পারেননি। বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছি। তারা নোট নিয়েছেন এবং বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। সিইসি আশ্বাস দিয়েছেন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তিনি বলেন, একদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বিএনপির প্রার্থীদের বাধা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে একটি দলের কয়েক ডজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ রকম ঘটনা এক দলীয় শাসন থেকে আলাদা কিছু নয়।
একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পৌর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা, দলের নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও বিভিন্ন জেলায় প্রার্থীদের ভয়-ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন সমস্যা ইসির কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সিইসি আশ্বাস দিয়েছেন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে পৌর নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল হালিম, দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুর রশিদ। সিইসির সঙ্গে প্রায় দেড়ঘণ্টা বৈঠক শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিক আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপির ৩ হাজারের ওপর নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস হবে। এ রকম সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে। নির্বাচনে যেন ভয়-ভীতি দূরে রেখে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন কমিশনকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ ইসি নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব অনেক। তিনি উল্লেখ করেন বিরোধী দল মানেই যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে তো সমস্যা। জাতীয় সংসদে থাকা মানেই বিরোধী দল নয়। বিরোধী হচ্ছে যারা সরকারের কর্মকা- নিয়ে সমালোচনা করেন তারা।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক দূর করতে সেনাবাহিনী মোতায়েতের দাবি জানিয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। দলের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন নিলু মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কশিমনারে সঙ্গে সাক্ষাত করে এ দাবি জানান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: