ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেলা ২টায় সিলেটের বিপক্ষে খেলবে ঢাকা ডায়নামাইটস ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল বুলস-চিটাগাং ভাইকিংস লড়াই

আজ জিতলেই শেষ চারে ঢাকা

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫

আজ জিতলেই শেষ চারে ঢাকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুই ম্যাচে ‘ফ্লপ’। তা থেকে কী আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হতে যাওয়া চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে বের হতে পারবেন বরিশাল বুলসের ক্রিস গেইল? তার ব্যাটিং ঝড় কী আজ দেখার মিলবে? সেই প্রশ্নই এখন চতুর্দিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। একইদিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। যে ম্যাচে দুপুর ২টায় মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নামাইটস ও সিলেট সুপার স্টারস। এ ম্যাচে ঢাকা জিততে পারলেই চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) তৃতীয় আসরে এরইমধ্যে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স ও বরিশাল বুলস। আর একটি দল শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেই দলটিই এখনও মিলছে না। সেই দলটি হতে পারে ঢাকা ডায়নামাইটস অথবা হতে পারে সিলেট সুপার স্টারস। অবশ্য নিজ নিজ দলের সমর্থক ছাড়া আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে কোন দল শেষ চারে গেল, এ নিয়ে ভাবনা নেই। শুধু তাদের নজর একজনের ব্যাটিংয়ের দিকে। সেই একজন হচ্ছেন, টি২০ ‘দানব ব্যাটসম্যান’ গেইল। যিনি এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ২ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। কিন্তু কাররই মন ভরাতে পারেননি। টানা দুই ম্যাচেই ৮ রান করে আউট হয়েছেন। ব্যর্থই হচ্ছেন। তা থেকে কী আজ বের হতে পারবেন গেইল? বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৮ সেঞ্চুরি হয়েছে। এরমধ্যে গেইলই করেছেন ৩টি! তাও আবার সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলে। প্রথম আসরে ৫ ম্যাচ খেলে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। আর দ্বিতীয় আসরে এক ম্যাচ খেলে একটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এবার খেলে ফেলেছেন ২ ম্যাচ। বিপিএলের প্রথম আসরে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন গেইল। এরপর একই আসরে আরেকটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথম আসরেই দুই সেঞ্চুরি হাঁকান। এরপর দ্বিতীয় আসরে একটি ম্যাচ খেলে, একটিতেই সেঞ্চুরি করেন। অথচ তৃতীয় আসরে খেলতে নেমে দুই ম্যাচেই ‘ফ্লপ’ গেইল। সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তাও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। কুমিল্লার বিপক্ষে তাও করে দেখাতে পারেননি টি২০ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন এ ব্যাটসম্যান। বিপিএলের প্রথম আসরেই সিলেটের বিপক্ষে ৪৪ বলে ১০১* করেছেন গেইল। সেবারও বরিশালের হয়েই খেলেছেন। একই আসরে ঢাকার বিপক্ষে ৬১ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় আসরে ঢাকার হয়ে খেলেন গেইল। এবারও সিলেটের বিপক্ষেই শতক করেন। ৫১ বলে ১১৪ রান করেন। প্রথম দুই আসরে মোট ৬ ম্যাচে গেইলের রান ছিল ৪০২। গড় ১০০.৫০। ৬ ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ৩৮টি! এখন পর্যন্ত যা বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড হয়েই আছে। মনে করা হচ্ছিল, গেইল এবার ব্যাট হাতে নামলে শুধু ছক্কাই দেখা যাবে। নিজেও উচ্চৈঃস্বরে সেই কথা বলেছিলেনও। কিন্তু তা আর দেখা যাচ্ছে না। ৮ রানের বৃত্তেই আটকে আছেন গেইল! এত উচ্চৈঃস্বরে কথা বলে কী লাভ হলো গেইলের? ঢাকায় পা রাখার আগে বলেছিলেন, ‘আরেকটা সেঞ্চুরি ধরে রাখ।’ ঢাকায় আসার পর বলেছিলেন, ‘শুধুই ছক্কা হাঁকাব।’ কিন্তু কোন কথাই টিকছে না গেইলের। কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। পিঠের ইনজুরি থেকে মুক্তি পেয়েই বিপিএলে খেলছেন। জড়তাই যেন কাটাতে পারছেন না গেইল। বেহাল দশার মধ্যেই আছেন। বলেছিলেন, ‘দর্শকদের মন ভরাতে চাই।’ তাও পারছেন না। আজ তাই গেইলের দিকেই সবার নজর থাকছে। আজ ‘গেইল তা-ব’ দেখা গেলেই হয়। গত মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন গেইল। এরপর ইনজুরিতে মাঠের বাইরে চলে যান। আগস্টে অস্ত্রোপচার করান। ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়ে বিপিএল দিয়েই আবার ব্যাট হাতে নেমেছেন। হতাশাই শুধু বাড়াচ্ছেন। প্রথম দুই আসরে দাপট দেখানে এ ব্যাটসম্যান তৃতীয় আসরে এখনও নীরবই হয়ে আছেন। তবে সবারই জানা গেইল যেদিন খেলবেন, সেদিন বল শুধু বাউন্ডারির বাইরেই যাবে। আজই কী সেই দিন। গেইল ঝড় কী অবশেষে মিলবে আজ?
×