ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাতিয়া দ্বীপে লড়াই হবে আ’লীগ বিএনপির

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

হাতিয়া দ্বীপে লড়াই হবে আ’লীগ বিএনপির

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া, ০৯ ডিসেম্বর ॥ দীর্ঘ ১৯ বছর পর নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে প্রধান বড় দুই দলের প্রতীক নৌকা-ধানের শীষের মধ্যে। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াইয়ের পর এ দ্বীপে এ দুই প্রতীকের আর কোন লড়াই হয়নি। এবার পৌরসভা নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার পর দ্বীপবাসী এ দুই প্রতীকের ভোটযুদ্ধে শামিল হচ্ছেন। ১৯৯১ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে লড়াইয়ে অধ্যাপক ওয়ালী উল্যাহ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সনের নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষ লড়াইয়ে ফজলুল আজিম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র (দেয়াল ঘড়ি) ও নৌকার লড়াইয়ে মোহাম্মদ আলী দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ২০০৮-এর নির্বাচনে ঋণের জামিনদার হওয়ায় আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় স্বতন্ত্র হরিণ ও স্বতন্ত্র কলস প্রতীকের মধ্যে লড়াই হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল আজিম হরিণ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ২০১৪ সনের নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র হরিণ প্রতীকের মধ্যে লড়াই হয়। এতে বেগম আয়েশা ফেরদাউস নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ এরপর এবারই পৌরসভা নির্বাচনে মুখোমুখী হতে যাচ্ছে নৌকা-ধানের শীষ। এবার আ’লীগ থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান মেয়র একেএম ইউসুফ আলী। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান কাজী আবদুর রহিম। হাতিয়ায় মেয়র পদে ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মূল লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে। ব্যক্তির চেয়ে দল ও প্রতীক নিয়ে আলোচনা এখন সর্বত্রই। আ’লীগের একজন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে অবস্থান করলেও প্রধান দুই দলের দুইজন প্রার্থী মাঠে থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে তেমন সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে আ’লীগের কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কঠোর অবস্থান মাঠেও প্রভাব ফেলছে। সাধারণ নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীককেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। বগুড়ায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ পৌর নির্বাচনের এগিয়ে যাওয়ার মাত্রা আরও একধাপ বাড়ল। শুরু হয়ে গেল প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার। বগুড়া পৌরসভার আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু অনানুষ্ঠানিকভাবে গেল দু’দিন ধরেই পাড়া-মহল্লায় গিয়ে পৌরবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। বুধবার সকালে শহরের ফতেহ আলী (র) মাজার শরীফে গিয়ে জিয়ারত করে মুরুব্বিদের দোয়া চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার কার্যক্রম শুরু করলেন। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে নিয়ে বেশ আনন্দেই মেতে উঠল। এদিকে বিএনপি মেয়র প্রার্থী এ্যাডেভোকেট মাহবুবুর রহমান উপশহর এলাকায় গিয়ে প্রচার শুরু করলেন। উপশহর এলাকাটি দিয়েই পৌরসভার ওয়ার্ড গণনা শুরু হয়েছে। এটি ১ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভার মোট ওয়ার্ড বর্তমানে ২১টি। হেভি ওয়েটের দুই মেয়র প্রার্থী উন্নয়নের আশ্বাস দিলেন। মেয়র পদের আরেক প্রার্থী ইসলামী এক্যজোটের খেলাফতে মজলিশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক প্রচার শুরু করেছেন ঠনঠনিয়ার একটি মাদ্রাসার সামনে থেকে। বগুড়া পৌরসভায় প্রার্থী এই তিন জনই। বগুড়ার আরও ৮টি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীগণও প্রচার শুরু করেছেন। দুইটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীগণ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন তবে দলীয় কর্মীও তাদের সঙ্গে আছেন। তারাও প্রচারের নানা কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দ হয়নি তবে দলীয় মনোনয়নে মেয়র প্রার্থীগণের প্রতীক তো ভোটারদের জানাই আছে।
×