ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে সমাবেশ

সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার দাবি

মাহফুজুর রহমান, নিউইয়র্ক থেকে ॥ সন্ত্রাসের জন্মভূমি ও ব্যর্থরাষ্ট্র পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীরা। একাত্তরের গণহত্যা অস্বীকার এবং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজনীতিকদের সাফাই গাওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটানের ব্যস্ততম সড়ক ফিফথ এ্যাভিনিউতে পাকিস্তানী কনস্যুলেটের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পরাজিত পাকিস্তানকে বাংলাদেশের পাওনা সম্পদ এবং একই সঙ্গে নিউইয়র্কের পাকিস্তান কনস্যুলেট ভবনের ৬০ শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশকে দেয়ার দাবি জানানো হয়। সর্বস্তরের বাংলাদেশী-আমেরিকানদের অংশগ্রহণে এ সমাবেশ থেকে ‘ডাউন ডাউন পাকিস্তান, পাকিস্তান পাকিস্তান টেরোরিস্ট টেরোরিস্ট ও পাকিস্তানী টোরোরিজম ডোন্ট সাপোর্ট’ সেøাগানে ম্যানহাটানে জোর আওয়াজ ওঠে। প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়। একুশে পদকজয়ী নাট্যব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন সন্ত্রাসীরাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা সাবেক ছাত্রনেতা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ১৯৫ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধারাধের মামলা করে তাদের বিচারের দাবি জানান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নিউইয়র্কের সভাপতি মিথুন আহমেদ পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্পদ আদায়ের উদ্যোগ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান। সমাবেশে আরও যোগ দেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, কলামিস্ট বেলাল বেগ, উদীচী নিউইয়র্কের সহ-সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেত্রী আইরিন পারভিন, শাহানারা রহমান, অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ, মোর্শেদা জামান, নুরুন্নাহার গিনি। সংস্কৃতিকর্মী জলি কর, যুবনেতা তরিকুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন, আব্দুল হামিদ, আক্তার হোসেন, তৈয়বুর রহমান টনি, রমেশ নাথ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আলী আহসান কিবরিয়া অনু, মুজাহিদ আনসারী, শাখাওয়াত বিশ্বাস, শেখ রফিক, আব্দুল বাসিত খান ও আশফাক মাসুদ প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এলায়েন্স বাংলাদেশী আমেরিকানদের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা করা হলেও পাকিস্তানী কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এলায়েন্স নেতারা পাকিস্তানী কনস্যুলেটের কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের নিন্দা জানান।
×