ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ

মার্শেই আস্থা অধিনায়ক স্মিথের

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

মার্শেই আস্থা অধিনায়ক স্মিথের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ড সফরে এ্যাশেজ ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে ক্রিকেট ছেড়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। তার সঙ্গী হয়েছেন ক্রিস রজার্স, শেন ওয়াটসন (টেস্ট অবসর), ব্র্যাড হ্যাডিনের মতো তারকা। ফলে অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটিং অর্ডারে এসেছে বড় পরিবর্তন। প্রত্যেকটি পজিশনে এখনও সেরা ব্যাটসম্যান বেছে নিতে পারেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) থিঙ্কট্যাঙ্ক। সাদা পোশাকে ছয় ও সাত নম্বর নিয়ে চিন্তিত সিএ ম্যানেজমেন্ট। ছয় নম্বরে খেলানো হচ্ছে মিচেল মার্শকে, যিনি মূলত পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তাকে জায়গা করে দিতে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পিটার নেভিলকে সাতে নেমে যেতে হচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে বেশ দিধান্বিত অসি নির্বাচক মহল। ঘরোয়া ক্রিকেটে নেভিল আবার বরাবরই ছয়ে ব্যাট করে সফল। ওদিকে এখনই অদল-বদল চাইছেন না স্টিভেন স্মিথ। মার্শের হয়ে ব্যাট ধরছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ‘নেভিল ও মিচেল মার্শের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এ নিয়ে কোচ ড্যারেন লেহম্যানের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন নির্বাচক মার্ক ওয়াহসহ আরও আনেকেই। আমি নিজেও একাধিকবার সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলাম। সবাই খুব দিধান্বিত। বিশেষ করে ব্যাট হাতে মিচের রান পাওয়া নিয়ে। কিন্তু আমি অবিচল। ওর ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে এতটুকু সন্দেহ নেই। নেটে কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার বিশ্বাস মার্শ ব্যাট হাতে খুব শীঘ্রই প্রতাশা পূরণ করতে শুরু করবে।’ অলরাউন্ডার হলেও মিচেল মার্শকে প্রথমে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখতে চান স্মিথ। কিন্তু মাঠে ঘটছে ভিন্ন ঘটনা। ব্যাটিংয়ের চেয়ে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েই বেশি সফল তিনি। ওয়ানডে-টেস্ট দুই ভার্সনে বল হাতে ধারাবাহিক ভূমিকা রাখছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত সিরিজের কথাই ধরা যাক। তৃতীয় পেসার হিসেবে দারুণ বোলিং করেছেন ২৪ বছরের মিচেল মার্শ। তিন ম্যাচে নিয়েছেন সাত উইকেট। পেসার হিসেবে সিরিজে যেটি তৃতীয় সর্বোচ্চ শিকারের নজির। ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পাওয়া শেষ টেস্টে ৩ উইকেট নিয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান মিচেল মার্শের। অথচ ছয় নম্বরের মতো ভাইটাল পজিশনে ব্যাটিং করে করতে পেয়েছেন মাত্র ৬৯ রান। গড় ১৩। যেখানে সাতে নেমে ৩৩ গড়ে ১৩০ রান প্রতিদ্বন্দ্বী পিটার নেভিলের। ছয় নম্বরে ব্যাটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ব্যাটিং করেই অসাধারণ সব ইনিংস খেলেছেন অবসরে যাওয়া ব্র্যাড হ্যাডিন। সুতরাং লেহম্যান-ওয়াহদের চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে স্মিথের কথার মূল্য অবশ্যই রয়েছে, তিনি কেবল অধিনায়কই নন, দলের সেরা ব্যাটসম্যানও। নির্বাচকরা তাকে মাইকেল ক্লার্কের তিন নম্বর পজিশনেই দেখতে পছন্দ করেন। অথচ উসমান খাজাকে ছেড়ে দিয়ে অধিনায়ক চারে নেমে ব্যাটিং করছেন এবং অশ্চর্যের বিষয় সেখানেও দারুণ সফল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে স্মিথ বলেছিলেন, ‘ব্যাট করতে জানলে পজিশন কোন বিষয় নয়। বরং যারা রানের জন্য, দলে জায়গা পেতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে তাদেরই আগে সুযোগ দেয়া উচিত।’- এই না হলে কুলীন অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ঠিকই জ্বলে ওঠেন খাজা। ১৫২ গড়ে ২ সেঞ্চুরির সাহায্যে করেন ৩০৪ রান। মিচেল মার্শও হয়ত সুযোগ পাবেন। সুযোগ পাবেন আজ থেকে মাঠে গড়ানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতে হবে ছোট মার্শকে।
×