ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ষোলোতে ম্যানসিটি-জুভেন্টাস, ইব্রার নতুন রেকর্ড

ইউনাইটেডের বিদায়

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

ইউনাইটেডের বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুতোয় দুলছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভাগ্য। মঙ্গলবার উল্ফসবার্গ বিদায় নিশ্চিত করে দিল রেড ডেভিলদের। উল্ফসবার্গের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সবচেয়ে সফল এই ক্লাবটির। মূলত গ্রুপের অন্য ম্যাচে পিএসভি সিএসকেএ মস্কোকে হারিয়ে দিলেই কপাল পুড়ে লুইস ভ্যান গালের দলের। উল্ফসবার্গের কাছে হারায় ম্যানইউর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। পিএসভি জেতায় তাদের পয়েন্ট বেড়ে হয় ১০। তলানিতে থাকা মস্কোর পয়েন্ট ৪। আর ম্যানইউকে হারানো উল্ফসবার্গের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ১২। যে কারণে ম্যানইউকে কাঁদিয়ে শীর্ষস্থান নিয়ে পরের পর্বে উঠল উল্ফসবার্গ। তাদের সঙ্গী দুই নাম্বারে থাকা পিএসভি। এর ফলে ইউরোপা লীগে অবনমন হলো ম্যানইউয়ের। মঙ্গলবার ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটে অতিথি হয়ে খেলতে নামা ম্যানইউ লিড পায়। দলকে এগিয়ে দেন এ্যান্টনি মার্শাল। তবে, ১৩ মিনিটে নালদোর গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ২৯ মিনিটে ম্যানইউকে লজ্জায় ডুবিয়ে গোল করে উল্ফসবার্গের ভিয়েরিনহা। ফলে, ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৮২ মিনিটে সমতায় ফেরে ম্যানইউ। গুইলাভোগুইয়ের আত্মঘাতী গোলে ভাগ্যের জোরে ২-২ এ সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। কিন্তু তার দুই মিনিট পর নালদো গোল করলে উল্ফসবার্গ ম্যাচটি জিতে ৩-২ ব্যবধানকে। সেইসঙ্গে নকআউট পর্বেরও টিকেট নিশ্চিত করে তারা। এদিন ম্যানইউ হারলেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে উড়তে থাকা ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় তুলে নেয়। সব শঙ্কা দূরে ঠেলে গ্রুপপর্বে শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় সিটিজেনরা। ঘরের মাঠে এদিন প্রথমে লিড নেয় ম্যানসিটি। ১৬তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ডেভিড সিলভা। স্টারলিংয়ের দারুণ পাসকে কাজে লাগিয়ে গোল করেন স্প্যানিশ তারকা। তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ইংলিশরা। তিন মিনিট পরই গোল শোধ করে অতিথিরা। ১৯তম মিনিটে স্টিনডলের সহায়হতায় মনশেনগ্লাডবাখের হয়ে প্রথম গোল করেন জুলিয়ান কর্ব। শুধু গোল শোধ করেই থেমে যায়নি জার্মান ক্লাবটি। স্বাগতিক ম্যানসিটিকে প্রথমার্ধেই লজ্জা দিয়ে ৪২ মিনিটে আবারও গোল করে। রাফায়েল কায়েতানোর গোলে লিড নেয় মনশেনগ্লাডবাখ। বিরতির পর হারের শঙ্কা কাটিয়ে ম্যাচে ফেরে ম্যানসিটি। স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরানোর সমতাসূচক গোলটি করেন স্টারলিং। ৭৯ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরান তিনি। আর ৮১ মিনিটে উইলফ্রেড বনির সহায়তায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন স্টারলিং। শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে প্রতিপক্ষের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন উইলফ্রেড বনি। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে সিটিজেনদের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এর ফলে ৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বে খেলবে সিটিজেনরা। সেভিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে গত মৌসুমের রানার্সআপ জুভেন্টাস। গ্রুপ ‘ডি’র শেষ ম্যাচে সেভিয়া ও জুভেন্টাসের বল দখলের লড়াইসহ আক্রমণাত্মক ফুটবলে দু’দলই ছিল সমানে সমান। তবে নির্ধারিত সময়জুড়ে গোলের জন্য হাহাকার করে সিরি এ চ্যাম্পিয়নরা। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি পগবা-মোরাতা-পাওলো দিবালারা। প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে সেভিয়াকে লিড এনে দেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো লরেন্তো। শেষ পর্যন্ত এক গোলের ব্যবধানেই ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘটে। শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে পিএসজি। ইব্রার পিএসজি ২-০ গোলে হারায় ইউক্রেনের শাখতার দোনেস্ককে। প্যারিসে গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি দুই দলের কেউই। যদিওবা ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবলে এগিয়ে থাকে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে ফরাসী চ্যাম্পিয়নদের অপেক্ষার অবসান ঘটে। জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচের সহায়তায় নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার লুকাস মৌরা। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে গোলের খাতায় নাম লেখান ইব্রাহিমোভিচ। সেইসঙ্গে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাতেও পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ইব্রাহিমোভিচ (১৬)। এত দিন ধরে রেকর্ডটাতে ভাগ বসিয়ে রেখেছিলেন লাইবেরিয়ান কিংবদন্তি জর্জ উইয়াহ।
×