ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর চেম্বার নির্বাচনে নেই উৎসাহ-উদ্দীপনা

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

যশোর চেম্বার নির্বাচনে নেই উৎসাহ-উদ্দীপনা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন নিয়ে অন্যবারের মতো নেই কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচন যে হচ্ছে এ তথ্যই নেই অনেকের কাছে। ১৯টি পদে ৬৫ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও তাদের মধ্যেও তেমন সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচন নিয়ে প্রচরণা নেই বললেই চলে। সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, দলীয়ভাবে চেম্বার দখলের মানসিকতা তৈরি হওয়ায় নির্বাচনে উৎসাহ হারিয়েছেন সবাই। তবে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি রক্ষায় বিশেষ করে নির্বাচনে গণতন্ত্রের শতভাগ চর্চা আশা করেন তারা। যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন নিয়ে এক সময় যশোরবাসীর বেশ আগ্রহ ছিল। যে কারণে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে একটি উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হতো। চেম্বার কার্যালয়ের সামনে দিন বা রাত সবসময়ই নেতাকর্মীদের ভিড় থাকত চোখে পড়ার মতো। কিন্তু নির্বাচনী সেই উৎসাহ এখন আর নেই। বিশেষ করে নির্বাচনকে ঘিরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধিতার কারণে সঠিক সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে হস্তক্ষেপ করেও কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগে বাধ্য হয় সরকার। প্রশাসক নিয়োগের পর একবার তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে প্রার্থীদের হয়রানিমূলক আটকসহ নানাবিধ চাপ সৃষ্টি হওয়ায় বাতিল হয় তফসিল। এরপর অনেকটা অগোচরেই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের উদ্যোগ নেয় চেম্বারের প্রশাসক। তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফকে নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক করে নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি গঠন করে দেন। এরপর এ কমিটি গত ৮ অক্টোবর তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। তফসিল প্রকাশের পর ১৯টি পদের বিপরীতে মোট ৬৫ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। চূড়ান্ত তালিকায় যাচাই-বাচাই করে কোন প্রার্থী বাদ পড়েননি। তবে ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর প্যানেল ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন ব্যবসায়িক নেতারা। তবে এ বছরের নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ তো অনেক দূরের বিষয় খোদ প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যেও কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। যশোর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের মধ্যে কয়েক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোট নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথাই নেই।
×