ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদের শিকড় সন্ধান

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে সম্প্রতি জঙ্গীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। উগ্রপন্থীদের একটি অংশ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বিএনপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র ফিরে আসা মাত্রই এসব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির বড় নেতা খোদ মওদুদ আহমদই গণতন্ত্রহীনতাকে জঙ্গীবাদের মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। এর ব্যাখ্যা তিনি দেন এভাবেÑ সরকারে যদি জনগণের অংশদারিত্ব থাকে, দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে, তাহলে কখনও উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। তাহলে এই গণতন্ত্র উদ্ধারের এই সৈনিকরা কী তলে তলে তাদেরই লোক! বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কথায় অবশ্য একটা আভাস পাওয়া গেল। এই সেদিন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমানে জঙ্গী হিসেবে যাদের সবার সামনে হাজির করা হয় তারা আসলে ‘নির্বোধ’। কিছু লোককে ধরে র‌্যাব অনেক দিন রেখে দেয়। তারপর তাদের খেতে দেয় না। তাদের চেহারা সুরত বদলে যায়। তাদের চুল-দাড়ি লম্বা হয়ে গেলে তখন মানুষের সামনে আনে। পুলিশের কাছে যেসব হাবি-যাবি অস্ত্র থাকে, তাদের কাছে তো অস্ত্রের অভাব নেই। সেগুলো সামনে নিয়ে ধরে বলে, এই যে জঙ্গী ধরেছি। আসলে তারা কিন্তু নির্বোধ! মন কাঁদে প্রাণ কাঁদে স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েক বিদেশী নাগরিকের ওপর হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের আগে যুক্তরাষ্ট্র সেই খবর পেয়ে যায়। সেখানে বসে এক মহিলা ইসলামী জঙ্গীদের পক্ষে বিবৃতি দেয় ওইখানে আইএস আছে অথচ পরবর্তী সময়ে অন্তত দুটি ঘটনার একটির সঙ্গে বিএনপি অন্যটির সঙ্গে জেএমবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। সঙ্গত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকায় দেশপ্রেমিক মানুষের মনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ধারণা জন্ম নিলে অন্যায় কিছু নেই। আর ’৭১-এ বাংলাদেশের জন্মের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা কেউ ভুলে যাননি নিশ্চয়ই। দেশে ’৭১-এর ঘাতক দালালদের বিচারের শুরু থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে মায়াকান্না শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মন্ত্রীরা ফোন করে রাজাকার আলবদরদের ছেড়ে দিতে বলছে। বাংলাদেশকে নত করতে না পেরে এখন আবার নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে। অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রতিবাদেও মায়াকান্না শুরু করেছে বিএনপির প্রয়োজন ফুরানো মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপনের। তিনি তো গত সপ্তাহে এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বসলেন। তিনি বললেন, ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে আসছেন। আরেক কাউন্সিলরও আসছেন। সুতরাং এই সময়ে মুরব্বিদের নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। আপনারা যারা যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হাবিজাবি বলছেন তারা এসব বাদ দেন। রিপন বলেছেন সরকার যদি একটি বিশেষ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে কথা বলে, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি দায়ী করা হয়, তাদের ব্লেইম দেয়া হয়Ñ এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ওপর এ্যাক্ট করে। আমাদের দল বিশ্বাস করে, না জেনে না বুঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি হয়Ñ এমন কোন মন্তব্য সরকারের তরফ থেকে করা উচিত নয়। বাংলাদেশের পণ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়াসহ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রিপন। কিন্তু রিপন কি ভুলে গেছেন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা কেটে দিতে তাদের নেত্রী পত্রিকায় কলাম পর্যন্ত লিখেছিলেন। পুরুষ কোটা স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংসারে নারীর অবদান নিয়ে মাঝে মধ্যেই আলোচনা হয়। সেই আলোচনা গতি পায় সাধারণত নারী দিবস রোকেয়া দিবসের আগেভাগে। আবার দিবস চলে যায় তো আলোচনাও বন্ধ। আবার সেই পুরনো বৃত্তেই নারী? অবশ্যই না। নারী উন্নয়ন সূচকে আশপাশের সকল দেশের উচিত বাংলাদেশকে অনুকরণ করা। কী ঘরে কী বাইরে সবখাতেই নারীদের জয় জয়াকার। পুরুষ হিসেবে খুব কম মানুষই আছেন যারা তা স্বীকার করতে চান না। বেশিরভাগই নারীর এই অগ্রযাত্রায় নারীর প্রতি কৃতজ্ঞ। মা-বোন-স্ত্রী থেকে নারী সহকর্মী সকলের প্রতিই শ্রদ্ধা জানাতে কেউ ভুল করেন না। তবে নারীরা বলছেন নারী ঘরে যে শ্রম দেয় ওই শ্রমের আর্থিক মূল্য হিসাব করা হয় না। সত্যিই তো যেখানে নারী-পুরুষ দুজনে কাজ করে অনেক ক্ষেত্রে সংসার চালাতে হিমশিম খান সেখানে আলাদা করে এই শ্রমমূল্য হিসাব করার সাধ্য অনেকের নেই। কিন্তু এটা করা উচিত। এই শ্রম মূল্য পেলে আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি আরও অন্তত ৪০ ভাগ বেড়ে যেত। আমাদের নারী এবং মহিলাবিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি কিন্তু বলেছেন নারীর যদি সঠিক মূল্যায়ন হতো তা হলে দেশে অদূর ভবিষ্যতে পুরুষ কোটার প্রয়োজন পড়ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী কোটার আর দরকার হতো না।
×