ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএল দারুণ উপভোগ করেছি ॥ আফ্রিদি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

বিপিএল দারুণ উপভোগ করেছি ॥ আফ্রিদি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) তৃতীয় আসরে মোট ৫ ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। এরমধ্যে চার ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন। দল যেখানে ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পেয়েছিল, শুরুতেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনায় ছিল, সেখানে আফ্রিদির নেতৃত্বে পরের চার ম্যাচের ২টিতেই জয় পেয়েছে। শেষ চারে খেলার সম্ভাবনাও তৈরি করে। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে বৃহস্পতিবার হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে সিলেট। তবে আফ্রিদি ঠিকই উপভোগ করেন। বলেছেন, ‘উপভোগ করেছি। যে যে দেশেরই হোক সবাই বাংলাদেশে আসবে এবং বিপিএল খেলবে। আমি বেশ উপভোগ করেছি।’ শুধু টুর্নামেন্টেই নয়, স্থানীয় মেধাবী ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলাও উপভোগ করেছেন ‘বুমবুম’ আফ্রিদি। বলেছেন, ‘অনেক নতুন মুখ, এত সহজ না এডজাস্ট করা। আলহামদুলিল্লাহ পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমরা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি। স্থানীয় বেশকিছু মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে খেলে উপভোগ করেছি। এবং তাদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেও অনেক উপভোগ করেছি।’ টুর্নামেন্টের শুরুতে যাচ্ছে তাই অবস্থা হয় সিলেটের। টানা ৪ ম্যাচ হারে দলটি। তখনই বোঝা হয়ে যায় দলটি বাদ পড়তে যাচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচেই জিতে। আফ্রিদি দলের সঙ্গে চট্টগ্রামেই যোগ দেন। চট্টগ্রামে সিলেটের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেন। ৬২ রানের ইনিংসও উপহার দেন। কিন্তু দল আর জিতেনি। ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টি জয় পায়। এমন সময় মুশফিকুর রহীম নেতৃত্ব দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না। ঢাকায় আসার পর তাই আফ্রিদিকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রথম ম্যাচেই জেতেন আফ্রিদি। ঢাকায় সিলেট তিন ম্যাচ খেলে। তিনটির মধ্যে দুটিতেই জিতে সিলেট। ৬ পয়েন্ট তাদের ভা-ারে যুক্ত হয়। সেই সঙ্গে খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া দলকে শেষ চারে খেলানোর সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন আফ্রিদি। যদি কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচটি জিতত সিলেট এবং বরিশালের বিপক্ষে হারত ঢাকা, তাহলে সিলেটের শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল। কিন্তু কুমিল্লার কাছে হেরে বিদায় নেয় সিলেট। আফ্রিদি বলেন, ‘যখন টুর্নামেন্ট শুরু হয় তখন আমি ছিলাম না। শুরুতে আমরা কিছু ম্যাচ খুব কাছে গিয়ে হেরেছি। অনেক বেশি একাদশ পরিবর্তনের কারণে সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ছিল। আমরা দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি নাই। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই। কিছু খেলায় পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছি। আমাদের জেতা দরকার ছিল। আমরা সব ম্যাচেই অনেক ভুল করেছি।’ সিলেট শুরুতেই যে দুটি ম্যাচে ১ রানে ও একটি ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও ৬ রানে হেরেছে সেখানেই দলের অবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি দেখা যায়। কিন্তু যখন কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচটিতে জেতা দরকার ছিল, এমন ম্যাচে এসে ৭৯ রানে অলআউট হওয়াটা সবাইকে অবাকই করেছে। আফ্রিদি এই ম্যাচের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘আমাদের পরিকল্পনা খুব সহজ ছিল। রান রেট, পরের ম্যাচ এই সব নিয়ে না ভাবা। আমাদের এই ম্যাচে জয়ের প্রয়োজন ছিল। আমরা ৪ থেকে ৮ ওভারের মাঝে অনেক উইকেট (৫ উইকেট হারিয়েছে সিলেট) হারিয়েছি। আমরা জুটি গড়ে তুলতে পারি নাই। তাই আমরা ম্যাচে হেরেছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই সংস্করণে জুটি গড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা দেখেছেন আমরা শেষ ৩-৪ ওভারে ভাল বল করতে পারিনি। শেষদিকে ৪০-৪৫ রান দিয়েছি। আর ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারে যদি অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে কি আশা করতে পারেন। এটা থেকে এই সংস্করণে বের হয়ে আসা সহজ নয়। আমরা যদি আগামী বছর একই দলে থাকি তাহলে আমাদের এই ভুল আবার করা ঠিক হবে না। অন্যথায় কোন সুযোগই থাকবে না।’ তবে আফ্রিদি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত উজ্জ্বল দেখছেন, ‘মাশাআল্লাহ দলে বেশ কিছু দারুণ তরুণ খেলোয়াড় আছে। যে দলের বিপক্ষেই খেলেছি সেখানেই বেশকিছু তরুণ মেধাবী খেলোয়াড় ছিল, যারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত।’
×