ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ব্যাংককে নমনীয় ও পুঁজিবাজারবান্ধব হতে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ ব্যাংককে নমনীয় ও পুঁজিবাজারবান্ধব হতে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও নমনীয় এবং পুঁজিবাজারবান্ধব হতে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, সম্প্রতি পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ বা ওভার এক্সপোজার সংক্রান্ত যে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ইতোমধ্যে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা ২ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকলে বাড়তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা আগেই এড়ানো যেত। এক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও নমনীয় এবং পুঁজিবাজারবান্ধব হতে পরামর্শ দেব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু ব্যাংকিং খাত নয়, পুরো আর্থিক খাতের অভিভাবক। মুদ্রাবাজারের মতো পুঁজিবাজারও আর্থিক খাতের অংশ। তাই মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজার নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। একটির ভাল-মন্দের প্রভাব অন্যটির উপরে পড়তে বাধ্য। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে রেগুলেটরি সংস্থাগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন। যদি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকে তাহলে পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করা কষ্টকর। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে, পুঁজিবাজার সম্পৃক্ত কোন নির্দেশনা দিতে হলে বিএসইসির সঙ্গে আলাপ করে দেয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক, আইডিআরএ ও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হন। অনেক সময় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে না এ বাজারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ আর্থিক খাতের সবগুলো সূচক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় ভাল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাড়াতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। আর বিনিয়োগ আসার প্রধান মাধ্যম হলো পুঁজিবাজার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলার আয়োজক ও অর্থসূচক ডটকমের সম্পাদক জিয়াউর রহমান। তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬৫টি স্টল থাকছে। এসব স্টলে তারা তাদের প্রোডাক্ট ও সেবা প্রদর্শন করবে। দর্শনার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। একটি স্টলে কোম্পানি আইন, বাংক কোম্পানি আইন, সিকিউরিটিজ আইন, শেয়ারবাজার ও অর্থনীতি সংক্রান্ত বইয়ের সমাবেশ থাকবে। দর্শনার্থীরা জানত পারবেন, কোন কোন বই তার জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নির্ভুল করার জন্য কার্যকরী হতে পারে। তিনদিনের এই মেলার দ্বিতীয় ও সমাপনী দিনে বিভিন্ন সেমিনারে অতিথি থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জ্বালানি ও বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্যাংকিং ও আর্থিক বিভাগের সচিব ড. আসলাম আলম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার মোঃ আরিফ খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
×