ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অসাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রকাশিত: ০২:২৭, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

অসাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দলের এক বৈঠকে শীর্ষ নেতারা এ আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, পৗরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে এগিয়ে আসবে এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনমনে যাতে কোন প্রশ্ন না হয় তা নিশ্চিত করবেন। এছাড়া বিএনপি-জামাত বাদে তাদের প্রার্থীসহ মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনুসারী, দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা। ব তারা বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা দেখাতে না পারলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না। ১৪ দলের শরিক এই দলটির নেতৃবৃন্দ পলিটব্যুারো সভায় কমিশনের কার্যক্রম ও অংসগতি নিয়ে আলোচনা করেন। কমিশনের কার্যক্রমের অসংগতি গুলোর মধ্যে রয়েছে, পৌরসভা আইনের সংশোধনী গ্রহণে বিলম্ব হওয়া, বিধি প্রণয়নে সময়স্বল্পতা এবং ক্ষেত্র বিশেষে সরকারের ওপর দায় রেখে নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা। নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার ও আকাক্সক্ষার প্রতি কতখানি অসংবেদনশীল তার প্রমাণ পাওয়া যায় সংরক্ষিত নারী আসনে নারীদের হেয় করা হয় এমন সব প্রতীক নির্দিষ্ট করার ঘটনায়। নির্বাচন কমিশন অবশেষে এ সম্পর্কে তাদের ভুলস্বীকার করেছে। কিন্তু ভুল শোধরানোর কোন পদক্ষেপ নেইনি। তারা বলেন, মিথ্যা হলফনামা দিয়ে জামায়াত নেতারা মনোয়ন দাখিল করলেও তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগদানের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। তাছাড়া প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই প্রচারের সুযোগদানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে বৈষমমূলক আচরণ ও নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকার কারণে বিভিন্ন রিটার্নিং অফিসারের নির্বাচনী এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন আচরণ, দল কর্তৃক একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দেয়া হলে ঐ দলের সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের সামঞ্জস্যহীনতা ও উদ্ভট বিধানÑ এসবই নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার অভাব ও নির্বাচন পরিচালনায় সনাতনী দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুারোর প্রস্তাবে বলা হয় অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন ও স্বধীন নির্বাচন কমিশনের জন্য এদেশের মানুষ সংগ্রাম করেছে এবং বিজয়ও অর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনের এ সকল আচরণের কারণে তা লোপ পেতে চলেছে বলে মনে হয়। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সভায় সভাপতিত্ব করেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাসহ সভায় উপস্থিত ছিলেন নুরুল হাসান, আনিসুর রহমান মল্লিক, নুর আহমদ বকুল, মনোজ সাহা, আমিনুল ইসলাম গোলাপ।
×