ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত ॥ গুলিসহ ৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

দিনাজপুরে গণপিটুনিতে  ডাকাত নিহত ॥  গুলিসহ ৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ সদর উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ২ ডাকাতকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাদের একটি বিদেশী রিভলবারসহ আটক করে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ পরে আরও ২ জন ডাকাতকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের ভূষিবন্দর সেতুর পশ্চিমপাশে অবস্থিত ‘তৃপ্তি ফিলিং স্টেশনে’ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একদল ডাকাত হামলা চালায়। ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক অমল রায় জানান, ছয়টি মোটরসাইকেলে ১৩ থেকে ১৪ জনের একটি ডাকাত দল মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ তিন লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দিলে ককটেল নিক্ষেপ করে ডাকাতরা। এতে তিনজন এলাকাবাসী আহত হন। আহতরা হলেন-জিয়াউর রহমান (৪২), রাজু আহমেদ (২৭) ও আনিসুর রহমান (২৮)। ডাকাত দলের মোটরসাইকেল বহর দিনাজপুরের দশ মাইল মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ফোন করে ডাকাত দলের গন্তব্যের বিষয়টি সকলকে জানায়। ডাকাত দল সদর উপজেলার রামডুবিরহাটে পৌঁছালে স্থানীয় জনতা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে তাদের গতিরোধ করে। নিজেদের বাঁচাতে ডাকাত দল সেখানেও কয়েকটি ককটেল ফাটায়। এতে জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ডাকাতদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ৩ জন ডাকাত মারাত্মকভাবে আহত হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাদের রাতেই দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাকাত দলের সদস্য সাব্বির হোসেন (৩৫) গুরুতর আহত হয়ে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার ভোরে মারা যায়। নিহত সাব্বিরের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভেলজানগর গ্রামে। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত অপর ডাকাত হলো পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সাদ্দাম হোসেন (৩৫)। প্রায় ৪০ বছর বয়স্ক অপর ডাকাতের পরিচয় জানা যায়নি। রাতেই কোতয়ালী পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও ২ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
×