ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

জাদুঘরে সাইদুর রহমান বয়াতীর পালাগানের আসর

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

জাদুঘরে সাইদুর রহমান বয়াতীর পালাগানের আসর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহুরে নাগরিকদের কাছে যেন অনেকটাই অপরিচিত কবিগান কিংবা পালাগান। অথবা বাঙালীর হাজার লোকসঙ্গীতের ঐতিহ্যবাহী এই ধারাটি সম্পর্কে জানলেও শোনার সুযোগ ঘটে না। এমনকি গ্রামেও এখন তেমনভাবে অনুষ্ঠিত হয় না পালাগানের আসর। শুক্রবার বিপন্ন সেই পালাগানের সুর শোনা গেল যান্ত্রিক শহর ঢাকায়। জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বসেছিল পালাগানের আসর। হেমন্ত বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাংলাদেশের পালাগান : রূপ ও বৈশিষ্ট্য’ শীর্ষক আলোচনা এবং পালাগানের পরিবেশনা। ‘শিব বনাম নারদ’ শিরোনামের পালাটি পরিবেশন করেন সুফি সাধক সাইদুর রহমান বয়াতী। লোকসঙ্গীতের এই জনপ্রিয় শিল্পী সুরের আশ্রয়ে বলে যান আবহমান বাংলার শেকড়ের কথা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর স্বাগত বক্তৃতা। তিনি বলেন, জাদুঘর এখন নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় পালাগান নিয়ে এ আয়োজন একটি নতুন ধারার সংযোজন। এভাবে ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করাই জাদুঘরের কাজ। ইন্টারনেট ও বিদেশী টিভি চ্যানেলের প্রতি তরুণ সমাজের আগ্রহের কারণে আজ লোকান্তরিত হচ্ছে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী এই লোকসঙ্গীত। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে লোকগানের এই বৈভবময় ভা-ারকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। লেখক আহমাদ মাযহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি ছিল বাংলাদেশের পালাগান নিয়ে অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ। সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এম. আজিজুর রহমান বলেন, সুফি সাধকরা সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখেন, মানুষকে দেখেন, স্রষ্টাকে দেখেন। এই সাধকদের পালাগান-কবিগান আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী এই ধারাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। সাইদুর রহমান বয়াতীর বয়স প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই। তবে এই বয়সে তাঁর ভরাট কণ্ঠে ধরা দেয় তারুণ্যের ছাপ। গমগমে কণ্ঠে পরিবেশন ‘শিব বনাম নারদ’ শীর্ষক পালা। সেই দীপ্ত কণ্ঠের মাধুর্যে মোহাবিষ্ট হয় লোকগানের অনুরাগী শ্রোতাকুল। পালাটি পরিবেশনায় সাইদুর রহমান বয়াতীর প্রতিপক্ষের শিল্পী ছিলেন তাঁর ছেলে আবুল বাশার আব্বাসী। তাদের সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন মতিয়ার রহমান, আব্দুল আলিম, উকিল উদ্দিন, আব্দুল জলিল, আব্দুর রহমান ও নূরে আলম। পালা শুরুর আগে সাইদুর রহমান বয়াতী বলেন, আমি খুব দুর্বিষহ জীবন পেরিয়ে এসেছি। এখানে পালা গাইতে এসে খুব আনন্দিত। এখানে এসে আমি জারি-সারিসহ অন্যান্য ধারার গানও গাইতে চাই। পালাগান এখন প্রায় বিলুপ্ত। ঐতিহ্যের এই ধারাটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রের নানা উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। পালার শুরুতে সাইদুর রহমান বয়াতী বাংলাদেশের পালার রূপবৈচিত্র্য ও পরিবেশনার আঙ্গিক ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, কবিগানের পালা শুরু হয় একটি টপ্পা গান পরিবেশনের মাধ্যমে। টপ্পার ওপর নির্ভর করেই পুরো পালাটি পরিবেশিত হয়। টপ্পার পর থাকে গুরুবন্দনা, এরপর পাঁচালি। এভাবেই তিনি পালাগানের নিয়ম-কানুন জানিয়ে শুরু করেন পালার পরিবেশনা। ‘আমি কবি-কাব্যে সাজলাম নারদ, তুমি পঞ্চানন’ একটি টপ্পা গান। এই টপ্পা দিয়েই পালা শুরু করেন আবুল বাশার আব্বাসী। যুক্তি ও ছন্দের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলে মামা-ভাগ্নের ঘটনা অবলম্বনে রচিত রূপক এই পালা। সাইদুর রহমান বয়াতীর জন্ম মানিকগঞ্জের হাঁসুলি গ্রামে। পনেরো বছর বয়সে তিনি যাত্রায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিচর্চায় যুক্ত হন। তিনি প্রধানত পল্লীগীতি, দেহতত্ত্ব ও বিচারগান করেন। একটি পালাও রচনা করেছেন। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে একটি দল গঠন করে পালাগানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণগ্রন্থাগারে সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভ্যাল ॥ শুক্রবার শীতের আগমনী বার্তাবহ হেমন্তের সকাল। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগন্থাগারের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি রোবট। রিবো নামের রোবটটি কখনও ধীর লয়ে হাঁটছে, কখনও বা নাচছে। শুধু তাই নয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবটটি মাঝেমধ্যে কথা বলেও উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের বিনোদিত করছে। আর এমন মজার দৃশ্যের উপলক্ষ ছিল সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভ্যাল। ‘এসো এসো, সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভ্যাল ২০১৫ তে এসো : হারিয়ে যাও কল্পবিজ্ঞানের রোবট এলিয়েনের অজানা জগতে’ সেøাগানে শুক্রবার থেকে প্রথমবারের মতো শুরু হলো এই কল্পবিজ্ঞান উৎসব। উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি। প্রধান অতিথি হিসেবে আট দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সোসাইটির সভাপতি মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক মোহিত কামাল ও বিজ্ঞান লেখক দীপু মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, অনিন্দ্য প্রকাশের আফজাল হোসেন ও অন্বেষা প্রকাশনের শাহাদাৎ হোসেন। উৎসবের শেষ দিন ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে এলিয়ন উৎসব। শিক্ষার্থীদের স্বহস্তে তৈরি কিংবা আঁকা এলিয়েনের মধ্য থেকে নির্বাচিত সেরা এলিয়েন নির্মাণকারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে। সবশেষে এলিয়েনদের উড়িয়ে দেয়া হবে হবে মহাশূন্যের উদ্দেশে। আট দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে উৎসব। হারুণ ফকিরের চিত্রপ্রদর্শনী ‘সত্যের সন্ধানে’ ॥ গ্যালারির প্রবেশ দ্বারের দেয়ালে প্রথমেই চোখে পড়ে এ্যাক্রেলিক মাধ্যমে আঁকা একটি বিমূর্ত ক্যানভাস। অবয়বহীন চিত্রপটের মাঝে দেখা মেলে একটি সতেজ গাছ, যার চারিদিকে ছড়িয়ে আছে ডালপালা ও পাতা। বিচিত্র রংয়ের এ গাছের উৎপত্তি মাটি থেকে। আমাদের প্রত্যেকের জন্ম যেন মাটি থেকে, জীবন চলার পথে যে যেদিকে ধাবিত হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি যেন উঠে এসেছে চিত্রটিতে। নারীর মুখের অবয়ব, জীবন বাস্তবতার নানা রূপ, সফলতার উচ্ছল আনন্দ প্রকাশে নানান রংয়ের বহির্প্রকাশ, নারীর বহু রূপকে মনের গভীরতা দিয়ে অনুভব, সমুদ্রের তলদেশের মতো জীবনের স্বচ্ছতা, রিদম অব প্লানিং, পৃথবীতে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকার আনন্দ অনুভবসহ বেশ কিছু মনস্তাত্ত্বিক বিষয়কে কেন্দ্র করে আঁকা চিত্রকর্মটি এশিয়াটিক সোসাইটি অব্ বাংলাদেশ’র গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টর্সে শোভা পাচ্ছে। শিল্পী হারুণ ফকিরের আঁকা বিমূর্ত ধারার এমন কিছু ছবি নিয়ে ‘সত্যের সন্ধানে’ শীর্ষক ১৯ দিনব্যাপী একক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে এশিয়াটিক সোসাইটি অব্ বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিল্প সংগ্রাহক মো. নুরুজ্জামান জুয়েল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এশিয়াটিক সোসাইটি অব্ বাংলাদেশ’র গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টর্সের পরিচালক ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান। প্রদর্শনী চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিজয় উৎসব ॥ বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সেগুনবাগিচার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে চলছে ‘মানবাধিকার দিবস থেকে বিজয় দিবস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালা। শুক্রবার ছিল আয়োজনের দ্বিতীয় দিন। এদিনের আয়োজনের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সে সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আরও ৫ লাখ অনুদান প্রদান করবেন বলেও জানান। দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলী। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য পাঠ করেন সৌরভ বৈদ্য, ইফতেখার হোসেন, তাজনীন সুলতানা সাদিয়া, সাদিয়া সারমিন ও অঙ্কন অধিকারী জনি। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিক্স প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ‘সবুজ শাড়িতে লাল রক্তের ছোপ’ ॥ আবৃত্তিশিল্পের চর্চা ও বিকাশে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে আবৃত্তি সংগঠন সংবৃতা আবৃত্তি চর্চা ও বিকাশ কেন্দ্র। আবৃত্তি কর্মশালা আয়োজন থেকে শুরু বিষয়ভিত্তিক আবৃত্তি প্রযোজনার নিয়মিত মঞ্চায়নের মাধ্যমে সংস্কৃতিপ্রেমীদের মনন গড়নে ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি। সেই ধারাবাহিকতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে সামনে রেখে শুক্রবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হলো মুক্তিযুদ্ধের কবিতা নিয়ে সংবৃতার দশম আবৃত্তি প্রযোজনা ‘সবুজ শাড়িতে লাল রক্তের ছোপ’। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে প্রযোজনাটি পরিবেশিত হয়। দরবারির প্রথম মজলিস ॥ শুক্রবার ছায়ানট মিলনায়তনে বসেছিল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নতুন এক ধারাবাহিক পরিবেশনা। এ্যাভাঁ-গ্রাড প্রডাকশনের ‘দরবারি’ শীর্ষক এ আয়োজনের শুরুতেই তবলা বাজিয়ে শোনান মীর নাকিবুল ইসলাম। মুরতাজা কবির মুরাদের বাঁশির সুরের সঙ্গে তবলায় সুরতাল তোলেন রতন কুমার দাস। শান্তনুর সন্তুরের সঙ্গে মীর নাকিবুল ইসলামের তবলার বাদনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন। আয়োজকরা জানান, এখন থেকে নিয়মিতভাবে বসবে এ আয়োজন। পাখির ছবি দেখে শিশুদের ছবি আঁকা ॥ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে চলছে পাখির দেশ বাংলাদেশ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ১০২ প্রজাতির পাখির ছবি ঠাঁই পেয়েছে প্রদর্শনীতে। শুক্রবার দুপুরে এসব পাখির ছবি দেখে শিশুদের চিত্রকর্ম সৃজনের আয়োজন করা হয়। ক্ষুদে শিল্পীরা রং-তুলির আশ্রয়ে বিচিত্র গড়ন ও আকারের পাখির ছবিতে রাঙিয়ে তোলে তাদের ক্যানভাস। এই ছবি আঁকায় অংশ নেয় কসমো স্কুলের ৩০ শিক্ষার্থী। যৌথভাবে প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। মঞ্চস্থ বুনন থিয়েটারের নকশী কাঁথার মাঠ ॥ শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো বুনন থিয়েটারের প্রযোজনা নকশী কাঁথার মাঠ। নাট্যকবি জসীমউদ্দিন রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যততত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনন জামান। ঘাটু গানের অঙ্গিকে নির্মিত নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ড. আফসার আহমদ, তারিক আনাম খান, ড. ইউসুফ হাসান অর্ক, সুদীপ চক্রবর্তী, মীর জাহিদ হাসান প্রমুখ। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে রোটারি ক্লাব অব আগার গাঁ ঢাকা, রোটারেক্ট ক্লাব অব ঢাকা আরবানা, রোটারেক্ট ক্লাব অব তিলোত্তমা স্পন্দনের সহযোগিতায় পতিতালয়ের ৩৭ জন বঞ্চিত শিশুদের শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। সম্মানিত করা হয় তাদের পালক মাতা হাজেরা খাতুনকে। নকশী কাঁথার মাঠ নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে সাজু ও রূপাই নামের দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমাখ্যানকে কেন্দ্র করে।
×