ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

গণহত্যার জন্য ক্ষমা  প্রার্থনা

যে সরকার আগে দায় মেনে নিয়ে দোষ বা অপরাধ স্বীকার করে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশীদের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করবে সে সরকারপ্রধানের নাম বিশ্ব ইতিহাসে স্থান লাভ করবে। বলছিলাম ১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে পাকি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালী হত্যা করে বিশ্বমানবতার মাথা ভেঙ্গে দীর্ঘ ৪৪ বছর পরেও জাতিসংঘের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সে জঘন্য অপরাধ থেকে মুক্ত হতে পারে বর্তমান পাকিস্তান সরকার। নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জাই পাকিস্তান সরকারকে উক্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন। বাংলাদেশে আটকে পরা ২ লাখ পাকিস্তানীর নিজ দেশে ফিরিয়ে না নেয়া প্রমাণ করে পাকি সরকার পাকি জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালী হত্যা করেছিল তার ছবি, ভিডিও, যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পাক সরকার নিশ্চয়ই দেখেছেন, অবগত হয়েছেন। তাহলে এখন তারা অস্বীকার করছেন কি কারণে? এক জুলফিকার আলী ভুট্টোর ওপর দোষ চাপিয়ে ফাঁসি দিলেও পাকিস্তানের জনগণ এখনও অবাধে অপরাধ জগতে বিচরণ করছেন। সভ্যতা ও মানবতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে পাকিস্তান সরকার জনগণের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এটা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রত্যাশা। মেছের আলী শ্রীনগর। বালু সন্ত্রাসী এক শ্রেণীর অসাধু চক্র নিজেদের স্বার্থে সারাদেশে নদীনালা, খালবিলে ড্রেজার বসিয়ে অবিরাম বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে উত্তোলনকৃত স্থানে গভীর খাত সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সংলগ্ন বসতি ও জায়গা জমি হুমকির মুখে পড়ে জনগণের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীচক্র বালি হরিলুটের এক মহোৎসবে মত্ত। এসব বালু সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানা পুলিশ এবং প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। লুটেরা শ্রেণীর ওই তা-ব বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। আহমদ আলী উত্তরা, ঢাকা সাংস্কৃতিক চেতনা দরকার এক সময় পাড়াগাঁয়ে দেখা যেত ক্লাব সংস্কৃতি। গান, আবৃত্তি, নাটক-অভিনয় ইত্যাদি শিল্পকলার অবারিত চর্চা ছিল। দেখা যেত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞানের বই-পুস্তক, ভাল প্রবন্ধ, গল্প-উপন্যাস ইত্যাদি পড়ত। আজ আর তা দেখা যাচ্ছে না। এক সময় পাড়া-গাঁয়ে পাঠাগার দেখা যেত, তাও আজ আর নেই। কোথায় যেন এসব হারিয়ে গেল। এখন আর আগের মতো পাড়া-গাঁয়ে ঐতিহাসিক ও সামাজিক নাটক মঞ্চস্থ হয় না। হয় না কোন কবিগানের পালা। যাত্রাপালার মতো লোকজ সংস্কৃতির অনুষ্ঠান দেখার জন্য এক সময় মানুষের মধ্যে উৎসাহ বোধ কাজ করত, তাও আজ আর নেই। দেখা যেত কোন বিয়ে অনুষ্ঠানে বিয়ের আগের রাতে বেতার শিল্পীদের দিয়ে ভাল ভাল রুচিশীল গানের পরিবেশনা হতো। এখন কোথাও আর কিছু নেই বরং ব্যান্ড শো’র শব্দদূষণ অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। স্বীয় বাঙালীপনা সংস্কৃতির পরিবর্তে আমরা দিন দিন পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সেবাদাসে পরিণত হয়ে উঠছি। শহর-নগরে কিছু মাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সীমিত আয়োজন দেখা গেলেও তাও যেন পর্যাপ্ত নয়। এই সাংস্কৃতিক কর্মকা-কে নির্দিষ্ট ক’টি জায়গায় সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রাম-বাংলার তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে পৌঁছাতে হবে। সাংস্কৃতিক চেতনা হচ্ছে একটি জাতির ভূষণ। এসব আজ আমাদের মধ্যে না থাকার কারণে নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে উঠছে না। ফলে আমরা দিন দিন অন্যরকম মানুষে পরিণত হয়ে উঠছি। শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির অভাব বিদ্যমান হেতু আমাদের মধ্যে গড়ে উঠছে না মানবতা সভ্যতা ও শালীনতা। আগে যখন আমাদের মধ্যে এ সবের চর্চা ছিল, তখন মানুষের নৈতিক অধঃপতন এ রকম সময়ের মতো ঘটনি। বিশেষত আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে এ অবক্ষয়ের শুরু। যা ধীরে ধীরে আজকের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে আমাদের নিয়ে এলো। শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ছাড়া একটি জাতি নৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে পারে না। সেই শিক্ষায় আজ অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে গেলেও ছেলেরা নানা কারণে পিছিয়ে পড়ছে। সেই ছেলেদের অনেকে আজ দেশ ও সমাজে ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি মানবিক শিক্ষার সঙ্কট শিক্ষা ব্যবস্থায় চরমভাবে বিরাজমান। এ থেকে পরিত্রাণ না মিললে আমরা আরও অন্ধকার গহ্বরের দিকে ধাবিত হয়ে পড়ব। আজ সময় এসেছে এসব নিয়ে ভাবার এবং কাজ করার। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের মুক্ত মনন অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আজকের তরুণ-যুব সমাজের গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের জন্যও সেরকম অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। নতুবা আমরা নিজেরাই নিজেদের অজান্তে অন্ধকারের অতলে হারিয়ে যাব। দেশ এবং জাতির বৃহত্তর কল্যাণে ও মানবিক সমাজ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে জরুরী ভিত্তিতে এগিয়ে আসা দরকার। খন্দকার মাহবুবুল আলম বন্দর, চট্টগ্রাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ গত ২৩ নবেম্বর ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘কলমাকান্দায় উপজেলা চেয়ারম্যানের শোডাউনে হামলা’ প্রকাশিত সংবাদিটিতে যেসব তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে তা আদৌ সঠিক নয়। উক্ত ঘটনার সময় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল নাজিরপুরে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বিগত সময়ে অশালীন উক্তি, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, দলীয় নেতাকর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করায় কতিপয় বিক্ষুব্ধ কর্মীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এখানে গাড়ি ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি বিধায় প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আব্দুল কুদ্দুস বাবুল ২নং নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কলমাকান্দা, নেত্রকোনা। প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের স্বপ্নের মৃত্যু মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। ছোটবেলায় পিতামাতা আমাদের বলতেন, অন্ধকে অন্ধ, খোঁড়া লোককে খোঁড়া বলতে নেই। কেননা এতে তারা মনে কষ্ট পান। বাস্তবে একজন প্রতিবন্ধীকে জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। আমি যখন অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ি তখন পর্যন্ত প্রতিবন্ধী সনদ নেয়ার বিষয়টি চিন্তা করিনি। কারণ এ বিষয়টি আমাকে কেউ মনে করিয়ে দিলে আমি মনে মনে খুবই কষ্ট পেতাম। আজ কেন যেন মনে হচ্ছে আমি সব লাজ-লজ্জার মাথা খেয়েছি, নিজে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে নিজের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে লিখতে বা বলতে আমার আর কোন দ্বিধা নেই। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রত্যক্ষ করলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজে অবহেলিত নয়। তারাও আজকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করেছে। আমাদের সবার প্রতিবন্ধীদের ওপর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সবাইকে সংবেদনশীল হতে হবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নয়; শারীরিক প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক শিশুসহ সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। সরকার প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূল স্রোত ধারায় নিয়ে আসার জন্য ১৯/১২/২০১১ তারিখের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১২/০১/২০১৫ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি আদেশ জারি করে, যাতে বলা হয়, বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যান্য ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকরিতে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। অথচ ২৯ আগস্ট/২০১৫ ৩৪তম বিসিএস-এর প্রকাশিত ফলাফলে পিএসসি ২১৫৯ জন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে; সে হিসেবে ২১জন প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুপারিশ করার কথা থাকলেও পিএসসি মাত্র ৩ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করে, যাদের সকলেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ফলাফাল দেখে মনে হচ্ছে পিএসসি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধী হিসেবে গণ্যই করেনি। কেননা আমার জানা মতে, ৫-৬ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থী যারা সকলেই নন-ক্যাডার নামক দুর্ভাগাদের দলভুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ২ জন প্রার্থী রয়েছেন যারা শুধুই প্রফেশনাল ক্যাডারে ভাইভা দিয়েছিলেন। আমি নিজেও জেনারেল ও প্রফেশনাল (শিক্ষা) ক্যাডারে ভাইবা দিয়েছিলাম। আমার সাবজেক্ট রসায়নে ৪০ জন প্রার্থী নেয়ার কথা থাকলেও ৩২ জন নেয়া হয়েছে। বিসিএস-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাইভা পর্যন্ত যাওয়া একজন প্রতিবন্ধী প্রার্থীর জন্য অনেক কষ্টের। প্রতিবন্ধীরা কারও অনুুকম্পা চান না, তারা শুধুই চান তাদের ন্যায্য অধিকারটুকুর পূর্ণ বাস্তবায়ন। তাই পিএসসি যাতে ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকার ঘোষিত ১% কোটায় শূন্য পদে নিয়োগদানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি। আফজাল হোসেন কুড়িগ্রাম। ই-মেইল : ধভলধষননং৮৭@মসধরষ.পড়স ভূমি কর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঁচিশ বিঘা জমির কম জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন। তখনকার প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে পঁচিশ বিঘা জমির বেশি জমি খুবই স্বল্পসংখ্যক মালিকের আছে। যার একশত বিঘা জমি ছিল সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছে। কাজেই ঐ পরিবারের আর খাজনা নেই। আমার বক্তব্য, যার যেমন জমি আছে তার তেমনই খাজনা হবে। প্রত্যেক নাগরিকই তার জমির ভূমি কর দেবে। ভূমি কর দেবে না এমন কেউই থাকার না। তাহলে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি সরকার এ বিষয়ে নজর দেবে। আব্দুল জলিল মোড়ল কেশবপুর, যশোর। হায় টাকা! টাকার মধ্যে দাগ দেয়া বা কোন কিছু আঁকা বা লেখা অন্যায়, টাকার মধ্যে দাগ দিলে বা লিখলে; টাকার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যারা টাকার মধ্যে দাগ দেন বা মনের মাধুরী মিশিয়ে হাবি-জাবি লেখেন তারা কি এটা জানেন? আসলে যারা টাকার মধ্যে দাগ দেন বা লিখেন, সেই ধরনের শিক্ষিত অজ্ঞানীর চেয়ে অশিক্ষিত জ্ঞানী অনেক ভাল। আসলে শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই জ্ঞানী হওয়া যায় না, হোক আমার এই লেখাপড়ার পর থেকে আশা করি আর কেউ কখনও টাকার মধ্যে দাগ দেবেন না বা লিখবেন না। টাকার মধ্যে দাগ দিয়ে বা লিখে অযথা অন্যায় করে পাপ অর্জন করে লাভ কি? আসুন পাপ অর্জন না করে নিজেদের পাপমুক্ত রাখি দেশ ও পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব মানুষের কল্যাণে। দিপু প্রামাণিক নবাবগঞ্জ, ঢাকা।
×