ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হারলেই বিদায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

হারলেই বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফাইনালে ওঠা, টিকে থাকা আর বিদায় নেয়ার পালা এখন। আজ আরেকটি দলের বিদায় নেয়ার দিন। সেটি কোন দল হবে, বরিশাল বুলস না ঢাকা ডায়নামাইটস? তা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল বুলস ও কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচটি শেষ হতেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এ দুই দলের মধ্যকার এলিমিনেটর ম্যাচ হবে। যে দল হারবে বিদায় নেবে। শেষ চারের লড়াইটিই এমন, প্রথম কোয়ালিফায়ারের জেতা দল ফাইনালে খেলবে। হারা দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলার জন্য টিকে থাকবে। এলিমিনেটর ম্যাচের হারা দল বিদায় নেবে। জেতা দল প্রথম কোয়ালিফায়ারের হারা দলের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খেলবে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জেতা দল প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের হারা দলের বিপক্ষে লড়াই করবে। যে দল জিতবে ফাইনালে উঠবে। প্রথম কোয়ালিফায়ারের জেতা দলের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়াই করবে। আজ বরিশাল-ঢাকার মধ্যকার লড়াইয়ে যে দল জিতবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে। হারা দলের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। লীগ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস ও সিলেট সুপার স্টারস। বরিশাল ও ঢাকার মধ্যে যে কোন একটি দল আজ তৃতীয় দল হিসেবে বিদায় নেবে। এ দুটি দলের এমন অবস্থা হয়েছে, শেষ যেখানে শুরু করেছে, যেন শুরুটাও আবার সেখান থেকেই হচ্ছে। লীগ পর্বের শেষ খেলায় বরিশাল ও ঢাকা মুখোমুখি হয়েছিল। শেষ চারে ওঠার মিশনে শেষে গিয়ে বরিশালেরই জয় হয়েছে। এবার যখন ফাইনালে ওঠার মিশন শুরু হচ্ছে, তখন আবার এ দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে। লীগ পর্বে বরিশালই বাজিমাত করেছে। দুটি ম্যাচেই জিতেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। দুই দলের মধ্যকার লীগ পর্বে প্রথম ম্যাচটি হয় চট্টগ্রামে। ঢাকা ১৫৮ রান করার পরও ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে বরিশাল। টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস (১০১*)। এখন পর্যন্ত বিপিএলের তৃতীয় আসরে আর কোন সেঞ্চুরি হয়নি। সেই সেঞ্চুরিটি বরিশালের হয়ে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের লুইস ঢাকার বিপক্ষেই করেন। তাই বড় স্কোর গড়েও জিততে পারেনি ঢাকা। যখন দুই দলের মধ্যকার লীগ পর্বের শেষ ম্যাচটি হয়, এ ম্যাচেও আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারই ঢাকাকে হারান। তিনি রায়াদ এমরিট। ঢাকার জেতা ম্যাচটি যেন কেড়ে নিয়ে জেতেন। এমরিটের অপরাজিত ৫৪ রানে ২ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে জিতে বরিশাল। তাই ঢাকার বিপক্ষে শতভাগ জয় নিয়েই আজ মাঠে নামবে বরিশাল। পয়েন্ট তালিকায় ১৪ পয়েন্ট পেয়েও রানরেটে তৃতীয় হয় বরিশাল। ৮ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ হয় ঢাকা। শেষ ম্যাচে দুই দলের দুই বড় তারকা ক্রিকেটারই খেলেননি। বরিশালের ক্রিস গেইল ও ঢাকার কুমার সাঙ্গাকারা খেলেননি। আজ দুইজনই খেলবেন। তবে ম্যাচ শুরুর আগে বরিশালই এগিয়ে থাকছে। ঢাকায় সাঙ্গাকারা, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ হাফিজ, ম্যালকম ওয়েলার, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মুস্তাফিজুর রহমান, ইয়াসির শাহ যেখানে আছেন, সেখানে বরিশালে গেইল, মাহমুদুল্লাহ, লুইস, এমরিট, রনি তালুকদার, সাব্বির রহমান রুম্মন, সেকুগে প্রসন্ন আছেন। দুই দলের মধ্যকার এক গেইলই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। সবারই জানা, গেইল যেদিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন, সেদিন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররা অসহায় হয়ে পড়েন। টানা দুই ম্যাচে ৮ রানের বৃত্তে আটকে থাকার পর চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে যেমন দেখা গেছে। চিটাগাং ১৩৫ রান করেছে। বরিশাল ১৪১ রান করে জিতেছে। এরমধ্যে গেইল একাই অপরাজিত ৯২ রান করেছেন। ৪৭ বলে ৬ চার ও ৯ ছক্কায় ঝড়ো ইনিংস খেলেন গেইল। শুধু গেইল থাকলে হতো, লুইস ও এমরিটও তো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। তার প্রমাণও মিলেছে। তিনজনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তিনজনের একজন যদি ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তাহলে ঢাকার বিপদই আছে। তবে ঢাকার সাঙ্গাকারা, হাফিজ, নাসির, ওয়েলারও যদি ব্যাট হাতে ঝলক দেখান, তাহলে বিদায় ঘণ্টা বাজতে পারে বরিশালেরও। এখন দেখা যাক, বরিশাল না ঢাকা; কোন দল জিতে ফাইনালে ওঠার জন্য টিকে থাকে, আর হেরে কোন দল বিদায় নেয়।
×