ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

বাগেরহাটের বন কর্মকর্তাকে জেলে প্রেরণ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

 বাগেরহাটের বন কর্মকর্তাকে জেলে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের বন কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী ওরফে একেএম ইউসুফ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজার রাজানগরের মোঃ আকমল আলী তালুকদারকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ এই আদেশ দেন। উল্লেখ্য চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক ছুটিতে রয়েছেন। বাগেরহাটের বন কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী ওরফে একেএম ইউসুফ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রবিবার সকালে ইউসুফ আলমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালতে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও সায়েদুল হক সুমন। গত ৯ ডিসেম্বর রাতে র‌্যাব সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা ইউসুফকে (৫৮) গ্রেফতার করে। ইউসুফ আলম মুক্তিযুদ্ধের সময় আল বদর বাহিনীতে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইউসুফ আলী জামালপুরের চাঁনপুর হরিণাকান্দা গ্রামের আব্দুল খালেক ওরফে খালেক মাস্টারের ছেলে। তার বড়ভাই এবিএম ইউনুস আলীকেও (৬৫) মানবতাবিরোধী মামলায় একই রাতে জামালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামালপুরে একটি মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন। এ মামলায় মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বাকি দু’জন হলেন- ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ওমর ফারুক (৭০) এবং রেজাউল করিম ওরফে আক্কাস মৌলভী (৬৬)। আক্কাস মৌলভী মুক্তাগাছার চেচুয়া আলিয়া মাদ্রাসা সুপার। তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘আসামি একেএম ইউসুফ আলম মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ছিলেন। সে সময়ে তিনি আলবদর বাহিনীতে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার সুবর্ণখিলা এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালান।’ প্রাথমিক তদন্তে ‘অভিযোগের সত্যতা’ পাওয়ায় গত ১ এপ্রিল জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার আটজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের এই মামলা করা হয়।
×