ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ছাড়ার আগে বলে গেলেন শ্রীলঙ্কার তারকা ব্যাটসম্যান ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা

‘বিপিএল দারুণ উপভোগ করেছি’

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

‘বিপিএল দারুণ উপভোগ  করেছি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে বিপিএলের তৃতীয় আসর শেষ হবে মঙ্গলবার। এর আগে একটি করে দিন যাচ্ছে, একটি করে দল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিচ্ছে; একজন করে বিদেশী তারকা ক্রিকেটার দেশ ছাড়ছেন। শনিবার এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশাল বুলসের কাছে ১৮ রানে হেরে রবিবারই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়লেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক তারকা ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। যাওয়ার আগে বলে গেলেনÑ ‘বিপিএল দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট।’ শুধু সাঙ্গাকারাই নন, পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ ইরফান, ইয়াসির শাহ, নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডয়েশচেট, শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নে ও জিম্বাবুইয়ের ম্যালকম ওয়েলারও রবিবার বাংলাদেশ ছেড়েছেন। নিজ নিজ দেশের উদ্দেশে সকালেই রওনা হয়েছেন তারা। পাকিস্তানের আরও দুই ক্রিকেটার নাসির জামশেদ ও সোহেল খান আজ বাংলাদেশ ছাড়বেন। টুর্নামেন্টে শেষ চারে খেলেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। কিন্তু এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে বিদায় নেয়। তবে সাঙ্গাকারা ঠিকই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান তারই। ১০ ম্যাচ খেলে ৩৮.৭৭ গড়ে ৩৪৯ রান করেছেন, যা বোঝা যাচ্ছেÑ তাতে সাঙ্গাকারাই শেষপর্যন্ত এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটসম্যান হয়ে থাকতে পারেন। সাঙ্গাকারা ছাড়া আর কোন বিদেশী ক্রিকেটারই নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার এই তারকা ব্যাটসম্যানের পরের স্থানে আছেন চিটাগাং ভাইকিংসের তামিম ইকবাল (২৯৮ রান)। ২৬০ রান করেছেন একই দলের তৃতীয় স্থানে থাকা তিলকারত্মে দিলশানও। সবার আগে ফাইনালে উঠা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার ইমরুল কায়েস ২৫৯ রান ও বরিশাল বুলসের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২২৬ রান করেছেন। সাঙ্গাকারা থেকে ৯০ রানে ইমরুল ও ১২৩ রানে মাহমুদুল্লাহ পিছিয়ে আছেন। ইমরুল ফাইনালেও খেলবেন। তাই সেঞ্চুরি করে ফেললেই সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেলার সুযোগ থাকছে। আর রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মাহমুদুল্লাহ ১২৪ রান করলে সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেলে দেবেন। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বরিশাল বুলসের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান এভিন লুইস সেঞ্চুরি করেছেন। আর কেউ করতে পারেননি। তাই মনে হচ্ছে, ইমরুল ও মাহমুদুল্লাহর শতক করাই কঠিন! তাই যদি হয়, তাহলে সাঙ্গাকারাই থাকবেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান। অবশ্য এ রান দিয়ে কি আর টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া যাবে? যাবে না। সেই সঙ্গে দলও বিদায় নিয়েছে। সবমিলিয়ে আর বাংলাদেশে থাকলেন না সাঙ্গাকারা। চলে গেলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘বিপিএল দুর্দান্ত একটি টুর্নামেন্ট। আমার দলটিও দারুণ ছিল। ঢাকার এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটিও অসাধারণ। ভালভাবেই তারা এগিয়ে চলেছে।’ সঙ্গে বরিশালের কাছে হেরে দলের বিদায় নিয়ে বলেন, ‘প্রথম ছয় ওভার হতাশাজনক। আমরা দ্রুতই কিছু উইকেট (৬৯ রানে ৫ উইকেট) হারিয়েছি। অন্যদিকে আমাদের বোলাররা শুরুতেই অনেক ভাল বল করেছে। আমাদের ব্যালান্স করতে হয়েছে। শেষপর্যন্ত আমরা পারিনি।’ ঢাকাকে ফাইনালে উঠানো কিংবা শিরোপার স্বাদ দিতে না পারলেও প্রথমবার বিপিএলে খেলেই বাজিমাত করেছেন সাঙ্গাকারা। বাকিদের মধ্যে অলরাউন্ডার নাসির হোসেন (১৯৩ রান ও ৬ উইকেট), পেসার মুস্তাফিজুর রহমান (১৪ উইকেট) ও স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেলই (১৬ উইকেট) শুধু নৈপুণ্য দেখাতে পেরেছেন। যে দলে মাত্র ৪ জন নৈপুণ্য দেখান, সেই দলকি আর বেশিদূর যেতে পারে! তাও এলিমিনেটর ম্যাচ খেলেছে ঢাকা। কিন্তু ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে টুর্নামেন্ট যে উপভোগ করেছেন সাঙ্গাকারা, তা বোঝাই গেছে। তাইতো বলেছেন, ‘বিপিএল দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট।’ টি২০ ম্যাচ মানেই হচ্ছে রানের ফোয়ারা। তাতে সাঙ্গাকারাই সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক। এই একটি অর্জন নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে রবিবারই শ্রীলঙ্কায় চলে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারা।
×