ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

না খেলেই চলে গেলেন গেইল

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

না খেলেই চলে গেলেন গেইল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পুরনো সেই পিঠের ব্যথা, সে কারণেই এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) বিশ্ব টি২০ ক্রিকেটের ভয়ঙ্করতম ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে শুরু থেকে দেখার সুযোগ হারিয়েছে। তবে ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএলে যোগ দেন গেইল বরিশাল বুলসের হয়ে। শুরুতে ৫ ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও চার ম্যাচ খেলেই চলে গেলেন তিনি। মাঝে একটি ম্যাচ অবশ্য তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় টি২০ আসর বিগব্যাশ লীগে খেলার জন্য বুলসের হয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার না খেলেই রবিবার রাতে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা গেইলের। যদিও ম্যাচ চলার সময় তিনি বাংলাদেশেই অবস্থান করছিলেন। তবে বুলসের ফিজিও জানিয়েছেন পিঠে ব্যথার কারণে গেইল রবিবারের ম্যাচে খেলেননি। এদিন রাতেই তার বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বুলস কর্তৃপক্ষ। এবার বিপিএলে ৫ ম্যাচের জন্য বুলসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ওপেনার গেইল। কিন্তু রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যখন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সে সময়ই একাদশে গেইলকে দেখা গেল না। এবার মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। হিসেব মতে, রবিবারের ম্যাচেও খেলার কথা এই ক্যারিবীয় ওপেনারের। কিন্তু পিঠের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার কারণে রবিবার আর তাকে একাদশে দেখা যায়নি। এ সময় বুলস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অসংলগ্ন তথ্য দেয়া হয়েছে। কখনও বলা হয়েছে পিঠের ব্যথার জন্য খেলেননি, কখনও বলা হয়েছে চুক্তি শেষ এবং কখনও বলা হয়েছে বিগব্যাশ খেলার জন্য চলে যেতে হয়েছে তাকে। তবে এবার ৫ ম্যাচের জন্যই তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। গেইল যোগ দেয়ার পর বুলস শনিবার এলিমিনেটর ম্যাচ পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ফেললেও একদিন খেলানো হয়নি তাকে। সেক্ষেত্রে আরেকটি ম্যাচ খেলার কথা তার। কিন্তু বিশ্রাম দেয়াটা বড় কথা নয়, খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তাই না খেলানোটা চুক্তির আওতায় থাকে নাÑ এমনটাই দাবি গেইলের পক্ষ থেকে। এসব অসংলগ্ন কথাই শোনা গেছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। রবিবার তিনি খেলেননি এবং পরে রাতে চলে গেছেন মেলবোর্নের উদ্দেশে। প্রতি ম্যাচে ২৭ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিয়েছেন গেইল। বিপিএলের আগের দুই আসরেই সেঞ্চুরি হাঁকালেও এবার ঘোষণা দিয়েও সেটা করতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচে ৮ রান করে আউট হলেও অবশ্য গেইল ঝড় থেকে বঞ্চিত হননি দেশের ক্রিকেটভক্তরা। নিজের তৃতীয় ম্যাচেই মাত্র ৪৭ বলে ৬ চার ও ৯ ছক্কায় অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এলিমিনেটরেও দারুণ ব্যাট করে ১৯ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৩১ রান করেন। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফাইনালে ওঠার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামেননি তিনি। যদিও বাংলাদেশেই ছিলেন।
×