ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তাপস মজুমদার

অন্তরালে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

অন্তরালে

গো-রাজনীতির অর্থনীতি স্কুলপড়ুয়া কোন ছাত্রছাত্রীকে গরু বিষয়ক রচনা লিখতে দিলে বোধ করি সে শুরু করবে এভাবে : গরু একটি নিতান্তই নিরীহ প্রাণী। আসলেই কি তাই! অন্তত ভারতের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে গরুর (নাকি গো-মাতা!) প্রভাব দেখে তা কিন্তু মনে হচ্ছে না। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি পরিচালিত সরকারের শাসন দেখে মনে হচ্ছে যেন গরু ইস্যুটিকে (সঠিক অর্থে গো-মাংস) তারা একরকম নির্বাচনী এজেন্ডা হিসেবেই বেছে নিয়েছে। এতদিনে নিশ্চয়ই সবাই জেনে গেছেন যে, মাস দুয়েক আগে ঈদ-উল আযহার পরদিন সংখ্যালঘু বন্ধুদের দাওয়াত দিয়ে গো-মাংস খাওয়ানোর মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ইখলাক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা, তার পুত্রকে আহত, সর্বোপরি বাড়িঘর লুটপাট করা হয়। এর জের ধরে বড় কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা না বাধলেও গো-মাংস ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে উত্তপ্ত বিতর্ক ও বাদানুবাদ। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর, সেহেতু সংখ্যালঘুরা কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এর অনিবার্য ঢেউ আছড়ে পড়ে দিল্লী, মুম্বাই, কলকাতা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহীশূর ও অন্যত্র। ভারতের প্রাগ্রসর অংশ ও বুদ্ধিজীবী, ইতিহাসবিদ, চিন্তক, শিল্পীসমাজ নরেন্দ্র মোদি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। অনেকেই তাদের সম্মান, সম্মাননা সনদ ও এ্যাওয়ার্ড ফিরিয়ে পর্যন্ত দেন। পরিস্থিতির যে এখানেই সমাপ্তি ও শান্ত হয়েছে এমন মনে করার কোন কারণ নেই। তবে বাস্তবতা হলো, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের গো-রাজনীতির অনিবার্য প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির উচ্চ মার্গের নেতা রাজনাথ সিং সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে কোন প্রকারে গরু পাচার বন্ধ করতে হবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ বলে কথা! সেই থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় গরু রফতানি তথা চোরাচালান কমছে। একেবারে বন্ধ হয়নি; তবে আমদানি যে কমেছে অনেকাংশে, তা বেশ বোঝা যায় রাজধানীর বাজারে গরুর মাংসের চড়া মূল্য দেখে। বোধ করি এ কারণেই এবার ঈদ-উল-আযহায় কোরবানিও হয়েছে কম। দামও গেছে চড়া। তবে এর পরিমাণ কত? অসমের একটি পত্রিকা নববার্তা প্রসঙ্গ এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর ২০১৫)। বিএসএফের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পাচার হয়েছে প্রায় ২২ লাখ গরু। সেটি ২০১৪-এ কমে ১৮ লাখ এবং ২০১৫-এর জুলাইয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫ লাখে। এতে ভারতের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১২ হাজার কোটি রুপী। তাই বলে গরু পাচার একেবারে বন্ধ হয়নি। তবে কমেছে ৭০ শতাংশ। তদুপরি গরু চোরাচালান প্রতিরোধে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা করেছে বহু বাংলাদেশীকে। গত এক বছরে হত্যা করেছে ২২ জনকে। গত তিন বছরে সীমান্তে অনেক গরু বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। শুধু ২০১৫-এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্তে আটকেছে ১ লাখ ১৯ হাজার গরু। অথচ ঢাকা থেকে দিল্লীকে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে গরু পাচারকারীদের যাতায়াত সহজ করার জন্য অথবা আইনানুগ বৈধতা দেয়ার জন্য। সর্বোপরি চোরাচালানকারীদের হত্যা না করার জন্য। ২০১১ সালের চুক্তি মোতাবেক দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের কেউই এ কাজে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে না বলা হলেও ভারত কথা রাখেনি। এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক যে, ভারতে গরুর সংখ্যা বিশ্বে বোধ করি সর্বাধিক, অথচ আউটপুট সবচেয়ে কম। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের প্রজাতি বাদ দিলে অন্যগুলো দুধও দেয় কম। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বভাবতই হালচাষে গরুর ব্যবহার কমেছে। তদুপরি সেগুলো বুড়িয়ে গেলে অর্থনীতিতে কোন অবদান তো দূরের কথা, বরং পরিণত হয় বোঝায়। তদুপরি বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতেও পাদুকা শিল্পের জন্য অপরিহার্য বিপুল পরিমাণ চামড়ার চাহিদার কথাও সহজেই অনুমান করা যায়। এর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে সে দেশের অভ্যন্তরে বিশাল একটি অংশের দৈনন্দিন গো-মাংসের চাহিদা এবং বিদেশে রফতানির প্রসঙ্গটিও। সুতরাং রাজনাথ সিং যাই বলুন না কেন, এই বিপুল বিশাল বাজার তথা অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি ভারত কতদিন পর্যন্ত সামাল দিতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। এবার আসা যাক বাংলাদেশে। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা অনেক কম, আউটপুটও কম। দুধ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হলে আমাদের এখনও বহু দূর যেতে হবে। কেন যেন এও মনে হয় যে, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নামে আলাদা একটি সরকারী সংস্থা থাকা সত্ত্বেও তাদের তেমন কার্যক্রম অন্তত দৃশ্যমান হয় না। ফলে প্রতিবছর অনিবার্য নির্ভর করতে হয় ভারতীয় গরু আমদানি তথা চোরাচালানের ওপর। একটি তথ্যে দেখা যায়, পাচারকারীদের কাছ থেকে বাংলাদেশে কাস্টমস ডিউটি আদায় করায়ও গরু পাচার কমতে শুরু করেছে। চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিয়ে বিজিপি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে জঙ্গী তৎপরতা ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোসহ পরস্পর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হতে পারে। এর পাশাপাশি খোলাখুলি আলোচনা হতে পারে গরু ও মাদক চোরাচালান নিয়েও। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিপি মহাপরিচালক বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকা- একেবারে বন্ধ হবে যদি গরু আনা-নেয়া বন্ধ হয়। তবে বাস্তবতা হলো, অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়ম ও গতিপ্রবাহে গরু, মাদক ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালান কোনদিনই বন্ধ হবে না। গত ঈদ-উল-আযহায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে সীমান্তপথে কিভাবে ও পদ্ধতিতে গরু চোরাচালান হয়ে থাকে, তার কিছু আলামত আমরা দেখেছি। বড় বড় লম্বা-চওড়া কাঠের পাটাতনে গরুকে আষ্টেপৃষ্ঠে শক্ত করে বেঁধে উঁচু করে কাঁটাতারের বেড়া গলিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে। এটা রীতিমতো পশু নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। সুতরাং ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ মাছ রফতানির মতো গরু আমদানির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে আসন্ন বৈঠকে। তাতে গরু ও মানুষ উভয় কুলই রক্ষা পেতে পারে। এক কাপ চা না কফি! চা ভাল না কফিÑ তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে বিভিন্ন মহলে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও দেখা গেছে, এ বিষয়ে একেকবার একেক রকম ফতোয়া প্রদান করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন চা পানের পক্ষে বিজ্ঞাপনী ছড়া লিখেছেন, তেমনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় চা পানের তীব্র বিরোধিতা করে লিখেছেন সুলিখিত প্রবন্ধ। তবে কোন সন্দেহ নেই যে, পানির পরেই চা ও কফি পৃথিবীর সর্বাধিক মানুষের প্রিয় পানীয়। চায়ে আছে ক্যাফিন ও ট্যানিন। অন্যদিকে কফিতে ক্যাফিনের পরিমাণ বেশি। বিশ্বে সর্বাধিক কফি পান করে থাকেন আমেরিকানরা, ব্রিটিশরা চা-কফি দুটোই এবং বাঙালীরা চা। ইদানীং অফিস-আদালতে কফির কিছুটা প্রচলন হলেও মোটের ওপর চা-ই দস্তুর, তাও দুধ-চিনি সহযোগে। এহেন চা একেবারেই বাঙালীর নিজস্ব চা। তবে বলা ভাল যে, চা বা কফি যাই খান না কেন, দুধ-চিনি একেবারে বাদ দেয়া ভাল। আধুনিক গবেষণা বলছে যে, কফি হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, স্নায়ুবৈকল্য (নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার) হ্রাস পায়। কফি এমনকি পারকিনসন্স ডিজিজ, স্মৃতিভ্রম, আলঝেইমার্স প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বলে গ্যালন গ্যালন কফি খেলে হবে না। প্রতিদিন দু থেকে চার কাপ, দুধ-চিনি ব্যতিরেকে। আরব বিশ্বে সর্বপ্রথম কফিসপসহ কফির ব্যাপক প্রচলন শুরু হলেও বিশ্বে নানা স্বাদের নানা উপায়ের কফি তৈরি শুরু করে ইতালিয়ানরা। যেমন, স্বাদ ও গন্ধের জন্য খুবই জনপ্রিয় কাপুচিনো কফির উদ্ভাবক হলো ইতালীয় এ নামের ধর্মযাজকরা। আমেরিকায় অনুরূপ শুরু করে সুবিখ্যাত স্টারবাকস। ১৯৭১ সালে সিয়াটলের ঐতিহাসিক পাইক প্লেস মার্কেটের ছোট একটি কর্নারে যাত্রা শুরু করে স্টারবাকস। হাওয়ার্ড শুলজ এর প্রতিষ্ঠাতা। নামটি নেয়া হয় মেলভিলের মবি ডিক থেকে। কোম্পানির লক্ষ্য ছিল আমেরিকানদের কাছে সুস্বাদু ও রকমারি কফির আসল স্বাদ পৌঁছে দেয়া এবং এর মাধ্যমে বিশ্বকে আরও একটু সুন্দর করা। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে স্টারবাকস পুরোপুরি সফল। তবে থেমে থাকেননি হাওয়ার্ড শুলজ। ১৯৮৬ সালে তিনি কিছুদিনের জন্য ইতালি সফরে আসেন এবং সেখানকার কফি বারগুলোর অভিজ্ঞতা ও সম্ভার পৌঁছে দেন আমেরিকানদের। বর্তমানে স্টারবাকস শুধু আমেরিকা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড নেম। তবে স্টারবাকসে শুধু কফিই নয়, এর পাশাপাশি চা, সুস্বাদু পেস্ট্রিসহ বিবিধ স্ন্যাকস পাওয়া যায়। ফাও হিসেবে মেলে অপূর্ব সঙ্গীতমূর্ছনা। ‘মিরাকিউলাস’! আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সৃষ্টি প্রফেসর শঙ্কুর একটি কাহিনীতে ‘মিরাকিউলাস’ নামের একটি বড়ির সন্ধান প্রথম পাওয়া যায়। আশ্চর্য এই ওষুধটির বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিদিন একবার খেলেই মানুষের ক্ষুধা-তৃষ্ণার খেল খতম! অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টা তাকে আর কিছুই খেতে হবে না। মাঝে-মধ্যে ভাবি, সত্যিই যদি মানুষের পক্ষে, আরও সঠিক অর্থে বিজ্ঞানীদের পক্ষে এমন একটি ড্রাগ আবিষ্কার করা সম্ভব হতো! পৃথিবীতে প্রতিদিন কত কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। কত মানুষ তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পায় না। অখাদ্য- কুখাদ্য খেয়ে, অপেয় পানি পান করে রোগে-শোকে ভোগে। অভুক্ত থেকে আক্রান্ত হয় অপুষ্টিতে। পানির অভাবে ভোগে পানিস্বল্পতায়। মোটকথা, পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির অভাবে বিশ্বব্যাপী ভুক্তভোগীর সংখ্যা মোটেও কম নয়। সে অবস্থায় বিজ্ঞানের কল্যাণে খাদ্য ও পানীয় সমস্যার সহজ সমাধানকল্পে ‘মিরাকিউলাস’ নামের একটি আশ্চর্য ওষুধ যদি সত্যি সত্যিই পাওয়া যেত তাহলে কতই না ভাল হতো। অন্তত, না খেতে পেয়ে মানুষকে মরতে হতো না। জাতিসংঘের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী সেই বড়ি অভাবী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সহজেই ঠেকানো যেত ক্ষুধা-তৃষ্ণা-দুর্ভিক্ষ। ঠিক সেরকম না হলেও কাছাকাছি অনুরূপ একটি বড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে মার্কিন মুলুকে। এর মাধ্যমে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নয়, বরং বার্ধক্য ঠেকানো যাবে সহজেই। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ড্রাগটির ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছে। মেটফরমিন নামের ওষুধটিকে অভিহিত করা হচ্ছে মিরাকল ড্রাগ হিসেবে। এই ওষুধটি নাকি চিকিৎসা বিজ্ঞানে অচিরেই যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এফডিএ জানিয়েছে, মেটফরমিন ডায়াবেটিস আক্রান্তদের চিকিৎসায় অলরেডি ব্যবহৃত হচ্ছে। পরে পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য করা যায়, ওষুধটি ডায়াবেটিস তো সারিয়ে তুলছেই; অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে বার্ধক্যের গতিও কমিয়ে দিচ্ছে ২০ বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘদিন এ ওষুধ ব্যবহার করে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ ৫০ বছরের এক ব্যক্তির মতো ঝরঝরে স্বাস্থ্য ফিরে পাবেন। এটি নাকি এ্যালঝেইমার্স অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশতাও হ্রাস করতে পারে। তবে মানুষের ওপর নয়, বরং প্রাণীর ওপর বছরখানেক ধরে গবেষণা করে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুতরাং মানুষের ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। কথা হলো, বয়স কমানো অথবা বার্ধক্য ঠেকানোর জন্য প্রতীক্ষা করতে আপত্তি নেই। কারোরই আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে মিরাকল ড্রাগটি পেতে হলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে হবে কিনা জানা যায়নি। আগেই বলা হয়েছে, মেটমরফিন ব্যবহৃত হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। সেক্ষেত্রে বার্ধক্য ঠেকানোর জন্য কেউ কি ইচ্ছে করে ডায়াবেটিস রোগী সাজবেন?
×